শনিবার তৃণমূল ভবনে শিক্ষক সংগঠনে রদবদলের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। নিজস্ব ছবি।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ককে শিক্ষা সেলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি করল তৃণমূল। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা সেলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়কে। তিনি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এর আগে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছে তৃণমূল। তিনিও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এ বার তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতিও করা হল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ককে।
গত ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দেন সৌমেন। দলবদলের দু’বছরের মাথায় দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে পলাশ সাধুখাঁ নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে। তিনি কলকাতার সূর্য সেন স্ট্রিটের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। ব্রাত্য জানিয়েছেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের নতুন সভাপতি করা হয়েছে প্রতিম হালদারকে। তিনিও এক জন শিক্ষক। কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন বিজন সরকার। এ ছাড়া পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু এবং শিক্ষা মিত্রদের নিয়ে নতুন একটি সংগঠনের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক মইদুল ইসলামকে নতুন সংগঠনটির সভাপতি করা হয়েছে। ওই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি রমিউল ইসলাম।
ব্রাত্য জানিয়েছেন, দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘অসাম্প্রদায়িক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুখ’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ময়দানে নেমে সংগঠনের কাজ করতে পারবেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে এমন সংগঠকদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রাত্য জানিয়েছেন, কর্মনিষ্ঠ, পেশানিষ্ঠ, বৃত্তিনিষ্ঠ এবং খাটিয়ে এই সব গুণাবলি দেখেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিতেরা তাড়াতাড়ি জেলা কমিটির সদস্যদের নাম দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপার নতুন কমিটি তৈরি হলে তা প্রকাশ্যে আনা হবে জানিয়েছেন ব্রাত্য।
সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও। তিনি বলেন, ‘‘নতুন সদস্য সংগ্রহের ফর্ম বিতরণ করার সময় কাউকে একটি পয়সা দিতে হবে না।’’ তা ফর্মের নীচে লেখা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বজিৎকে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করার সময় তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল বিজেপি। যদিও বিজেপিতে যোগদানের আগে বিশ্বজিৎ ও সৌমেন তৃণমূলই করতেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন দু’জনেই। কিন্তু ২০২১ সালের ১১ জুন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলে, বিশ্বজিৎ ও সৌমেনও তৃণমূলে ফিরে আসেন।