—ফাইল চিত্র।
প্রতি বছর রেল বাজেটে নিরাপত্তার খাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু যাত্রী নিরাপত্তার হাল যে ফেরে না, ফের তা প্রমাণ হল শুক্রবার রাতে।
অভিযোগ, হাওড়ামুখী অমৃতসর মেলের এসি টু টিয়ার ও থ্রি টিয়ার কামরায় যাত্রীদের মালপত্র চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। যাত্রীদের দাবি, সারা রাতে দেখা যায়নি আরপিএফ বা জিআরপি কর্মীদের। ট্রেনটি শনিবার দুপুরে হাওড়ায় পৌঁছনোর পরে হাওড়া জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যাত্রীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অমৃতসর থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। শুক্রবার রাতে ট্রেনটি পটনা স্টেশন পেরোনোর কয়েক ঘণ্টা পরেই চুরি হয় বলে অভিযোগ। বিলাস ঘোষ নামে বি ফোর নম্বরের থ্রি টিয়ার কামরার এক যাত্রী জানান, যখন সবাই ঘুমোচ্ছে তখনই আসনের নীচে রাখা সমস্ত ব্যাগপত্র চুরি হয়ে যায়।
বিলাসবাবু বলেন, ‘‘আমাদের কোচের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি রাতে কামরায় ঘোরাঘুরি করে যাত্রীদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। কিন্তু চুরির পর তাঁর আর দেখা মেলেনি। আমরা তাই টিকিট পরীক্ষকের কাছে সাহায্য চাই। কিন্তু তিনিও সাহায্য করেননি।’’ বিলাসবাবু আত্মীয়স্বজনকে উপহার দেওয়ার উলের জিনিস কিনেছিলেন। এ ছাড়া নগদ কয়েক হাজার টাকা ও স্ত্রীর মোবাইল-সহ সোনার কিছু জিনিসও ছিল। ওই ব্যাগটাই চুরি গিয়েছে।
একই অভিজ্ঞতা বি ওয়ান কোচের যাত্রী বিনীত মোহতার। তিনি বলেন, ‘‘রাতে চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে দেখি শুধু আমার নয়, আশপাশের কয়েকটি এসি টু টিয়ার ও থ্রি টিয়ার কামরার প্রায় ৮টি পরিবারের ব্যাগ চুরি হয়েছে। আমরা রাতেই রেলের ওয়েব সাইটে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।’’
যাত্রীদের অভিযোগ, চুরির ঘটনার পরে কোনও কামরাতেই রেল পুলিশ বা আরপিএফের দেখা মেলেনি। পুরো ট্রেনটাই অরক্ষিত ভাবে হাওড়ায় এসে পৌঁছয়। রেল পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছনোর পর যে সব যাত্রীদের মালপত্র খোয়া গিয়েছে, তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাত্রীদের অভিযোগগুলি পটনা জিআরপি-র কাছে পাঠানো হচ্ছে। তারাই তদন্ত করবে।