প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন পেশায় কর্মরত বিশিষ্টদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক (প্রফেসর অব প্র্যাকটিস) হিসাবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিল ইউজিসি। এর পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে চাইলে দু’টি পাঠ্যক্রমে (অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম) একসঙ্গে পড়তে পারেন সে বিষয়ে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বলেছে ইউজিসি। পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বড় মাপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু পাঠ্যক্রম তৈরি করতেও বলা হয়েছে।
ইউজিসি-র নির্দেশে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিল্প ক্ষেত্র, আইন, গণ মাধ্যম, সাহিত্য, চারুকলা, জনসেবা, সমাজবিজ্ঞান এমনকি, সেনাবাহিনী ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞেরাও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারবেন। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণে পড়ুয়াদের শিল্প ক্ষেত্র এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে যোগ্য তৈরির জন্যই এমন উদ্যোগ বলে ইউজিসি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক পদের ১০ শতাংশে এই পেশাদারদের নিয়োগ করা যাবে। নিয়মিত নিয়োগের পাশাপাশি এগুলি অতিরিক্ত নিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে। সর্বাধিক তিন বছরের জন্য এই নিয়োগে কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে কর্মজীবন এক বছর বাড়ানো যেতে পারে। এই শিক্ষকদের বেতনের ভার বইতে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
ইউজিসি ‘প্রফেসর অব প্র্যাকটিস’ নিয়োগ নিয়ে খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করার পরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, এমনিতেই নিয়োগের অভাবে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বহু পদ খালি। সরকারি সাহায্যও ক্রমশ কমছে। এই পরিস্থিতিতে পেশাদার শিক্ষকদের বেতন কোথা থেকে আসবে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পেশাদারেরা শিক্ষকতা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে কতটা যোগ্য তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।