Transport Department

CNG Bus: কলকাতায় সিএনজি বাস চালানোর মেয়াদ বাড়াতে, গ্রিন ট্রাইব্যুনালে আবেদন পরিবহণ দফতরের

কলকাতায় সিএনজি বাস চালানোর সময়সীমা ১৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার আবেদন পরিবহণ দফতরের। ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ১৪:১৭
Share:

কলকাতায় সিএনজি বাস চালাতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাল পরিবহণ দফতর। ফাইল চিত্র।

কমপ্রেসিভ ন্যাচরাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত বাস চালানোর সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন নিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি কলকাতা শহরে সিএনজি বাস চালানোর সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে রাজ্য। এই আবেদনে বাস চালানোর সময়সীমা ১৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার আবেদন জানানো হয়েছে। ক্রমবর্ধমান পেট্রল ও ডিজেলের দামবৃদ্ধিতে বিকল্প জ্বালানিতে বাস চালানোর চেষ্টা করছেন পরিবহণ কর্তারা। তাই কম খরচে পরিবেশবান্ধব বাস পরিষেবা বাড়াতে রাজ্য পরিবহণ দফতর সিএনজি-র পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও ব্যাটারি চালিত বাস চালানোর দিকে ঝুঁকছে। যদিও পেট্রল বা ডিজেল চালিত বাসের তুলনায় এই বাসগুলির মূল্য অনেকটাই বেশি। তাই বাস মালিকরা এই ধরনের বাস কেনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে নারাজ। বাস মালিক সংগঠনের এক নেতার কথায়, কেএমডিএ (কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি) এলাকায় কোনও বাস ১৫ বছরের বেশি চালানো যায় না। একটি পেট্রল বা ডিজেল চালিত বাসের দাম যেখানে ১৫-২০ লক্ষ টাকা। সেখানে একটি সিএনজি বাসের মূল্য ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। মাত্র ১৫ বছর বাস চালিয়ে এই বিনিয়োগ তুলে খুব একটা লাভ করা যাবে না। তাই বাস মালিকদের সংগঠন সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেস সিএনজি বাস চালানোর সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করে পরিবহণ মন্ত্রীর ফিরহাদ হাকিমের কাছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, বাস মালিকদের সংগঠন সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের আবেদনপত্র হাতে পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। মন্ত্রী ফিরহাদের অনুমতি নিয়ে কলকাতা শহরে বাস চালানোর সময়সীমা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার আবেদন জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। বাস মালিক সংগঠনগুলিকে পরিবহণ দফতর থেকে এ কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল পরিবহণ দফতরের আবেদন মঞ্জুর করলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবেন তাঁরা।

সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা আমাদের দাবির সঙ্গে একমত। তাই তাঁরাও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুন্যালের কাছে আবেদন জানিয়েছে। আশা করি আদালতও আমাদের যুক্তি মেনে নেবেন। এর পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহণকে বাঁচাতে রাজ্য সরকারকেও ভর্তুকি দিতে হবে। না হলে বেসরকারি পরিবহণকে বাঁচানো যাবে না।’’ প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে যে লকডাউন হয়েছিল, তাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement