নতুন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
গাড়িতে দুর্ঘটনা বা অবাঞ্ছিত কোনও কিছু ঘটলেই জানতে পারবে পরিবহণ দফতর। এমনকি, জানতে পারবে পুলিশও। এমনই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ বার থেকে প্রতিটি বাণিজ্যিক গাড়িতে ‘ভেহিকলস লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ (ভিএলটিডি) লাগানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ১ এপ্রিলের পর থেকে যে সমস্ত বাণিজ্যিক গাড়ি রাজ্যের রাস্তায় নেমেছে, সেখানে এই প্রযুক্তি লাগানো হয়েছে। কিন্তু তার আগে রাস্তায় নামা গাড়িগুলির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো থাকলে কোনও দুর্ঘটনা বা কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে তা পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুম জানতে পারে। কারণ, নতুন এই যন্ত্রটিতে থাকছে ‘প্যানিক বাটন’। সেই ‘প্যানিক বাটন’ মারফত পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি দুর্ঘটনার খবর পৌঁছে যাবে পুলিশের কাছে। ফলে সহজেই প্রশাসন উদ্ধারকার্য চালাতে পারবে। অপরাধমূলক ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতেই এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হচ্ছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। কারণ বহু অপহরণের ঘটনায় গাড়ির লোকেশন দেখেই পুলিশ অপরাধীদের ধরতে পারে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চারটি কন্ট্রোল রুম তৈরি করছে পরিবহণ দফতর। কলকাতার পোদ্দার কোর্ট, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও একটি জায়গায় এই কন্ট্রোল রুম হবে।