—প্রতীকী ছবি।
তদন্তকারীরা থ। বলে কী ছেলেটি! মগরার তৃণমূল নেতা শেখ মাসুদ সারওয়ারকে খুনের অভিযোগে বলাগড়ের ১৭ বছরের স্কুলপড়ুয়া-সহ তিন নাবালককে রবিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের কারণ জানতে ধৃতদের জেরা করে অবাক হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ১৭ বছরের ছেলেটিই ওই খুনের মূল অভিযুক্ত। তাঁদের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে, তার ইচ্ছে ছিল ‘ডন’ হওয়ার। কিন্তু ডন হওয়ার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র দরকার। এই ভাবনা থেকেই মাসুদকে বন্দুক কিনতে টাকা দিয়েছিল ছেলেটি। কিন্তু মাসুদ বন্দুক এনে দেননি। টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না। সেই রাগেই পরিকল্পনা করে বয়সে ছোট দুই শাগরেদকে নিয়ে মাসুদকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে সে। কিশোরের দুই নাবালক শাগরেদও এ কথা কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি।
বন্দুক কিনতে মাসুদকে ওই তরুণ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। অতগুলো টাকা সে কোথায় পেয়েছিল? ধৃতদের জেরার পরে তদন্তকারীদের দাবি, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া হিসেবে রাজ্য সরকারের থেকে ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা এবং বাড়ি থেকে আরও ১০ হাজার টাকা মিলিয়ে সে মাসুদকে দিয়েছিল। ওই কিশোরের বাবা দুবাইয়ে গয়নার কাজ করেন। ছেলেটিকে বাড়ির লোক অনেক টাকা হাতখরচ দেন। পুলিশ জেনেছে, বন্ধুদের কাছে সে প্রায়ই তার ‘ডন’ হওয়ার ইচ্ছের কথা বলত।
পুলিশের দাবি, ওই কিশোর জানিয়েছে, সম্প্রতি সে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করে। সে জন্য ক্রিকেট ব্যাট কিনেছিল। ঘটনার সন্ধ্যায় সে মাসুদকে ফোন করে মাচার আড্ডায় মদ-গাঁজা খেতে ডাকে। ঘটনাস্থলে কিশোরের ১৪ এবং ১৬ বছরের দুই শাগরেদও ছিল। মাসুদ মাচায় বসলে ব্যাট দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয়। মাসুদ লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্যাট দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরা হয়। এক জন তাঁর বুকের উপরে দাঁড়ায়। মাসুদ মারা গিয়েছে নিশ্চিত হতেই তারা পালিয়ে যায়। ধৃত তিন নাবালককে হোমে পাঠিয়েছে জুভেনাইল আদালত।