Asian Paints

দুর্গাপুজোর ৬ নেপথ্য নায়কের গল্প

এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পিওপল অব পুজোর পঞ্চম সিজনে সেই সমস্ত নেপথ্য নায়কদের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যাঁদের হাতের জাদুতে প্রাণ পায় শহরের দুর্গাপুজো।

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৪:৪১
Share:

এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পিওপল অব পুজো, সিজন ৫

সারা বছর বাঙালিরা যে উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে তা হল বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দূর্গাপুজো। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর স্বাদে মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। ছোট থেকে বড়, সকলেই অপেক্ষা করে থাকে এই উৎসবের স্বাদকে চেটে পুটে গ্রহণ করার জন্য। তবে এই পুজোকে এত রঙিন করে তোলার নেপথ্যে যাদের পরিশ্রম রয়েছে, যে শিল্পীরা সারাবছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে একটু একটু করে তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোকে এত রঙিন করে তোলেন তাঁদের খবর ক'জন রাখে? কী ভাবে বিন্দু বিন্দু ঘামে একটি প্রতিমা গড়ে ওঠে, কী ভাবে তার অলঙ্করণ হয়, কী ভাবে গড়ে ওঠে মণ্ডপ, সেই সমস্ত খবর অনেকেরই অজানা।

এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পিওপল অব পুজোর পঞ্চম সিজনে সেই সমস্ত নেপথ্য নায়কদের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যাঁদের হাতের জাদুতে প্রাণ পায় শহরের দুর্গাপুজো। যাঁরা শহরকে সাজিয়ে তোলেন আলোর রোশনাইয়ে। পর্দার আড়ালে থেকে নীরলস প্রচেষ্টায় যাঁরা দুর্গাপুজোকে বাঙালির সর্বসেরা উৎসবের রূপ দেন প্রতি বছর। এই সমস্ত নেপথ্য নায়কদের গল্পই বলবে এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পুজো-সিজন ৫। দুর্গাপুজোর পিছনে এই সমস্ত মানুষের নিঃশর্ত অবদান, শৈল্পিক ভাবনাচিন্তা, সৃজনশীলতাই যোগ করে এক নতুন অর্থ। আর তাদের জন্যই মানুষ দুর্গাপুজোকে এত সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারেন।

আসুন জেনে নিই সেই অজানা কিছু মানুষের গল্প।

রাম পাল: রাম পাল থাকেন নদিয়ায়। চোখে না দেখতে পেলেও বছরের পর বছরের ধরে অত্যন্ত যত্ন সহকারে তৈরি করে চলেছেন দূর্গা মূর্তি।

চন্দনা ও বন্দনা কর: চন্দনা ও বন্দনা কর উলুবেরিয়ার কর পরিবারের দুই পুত্র বধূ। এঁরা প্রতি বছর নানান রঙের কারুকার্যের মা দুর্গার গয়না তৈরি করে চলেছেন। পুজোর সময়ে মায়ের অলঙ্করণে এঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এঁদের হাতেই অপরূপ সাজে সেজে ওঠেন দেবী দুর্গা।

মুনমুন সরকার: শিলিগুড়িতে টোটো চালিয়ে দিন কাটে মুনমুনের। কিন্তু তিনি প্রতি বছর বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণদের সঙ্গে উদযাপন করেন দুর্গাপুজোর দিনগুলি। নতুন জামাকাপড়, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সব হয় তাঁদের সঙ্গেই। যখন সারা দেশ মেতে ওঠেন নিজেদের সাজাতে, তখন এই মুনমুন সরকারই এই সমস্ত দশভূজার দায়িত্ব সামলান একা হাতে। উৎসবের একমুঠো আনন্দে ভরিয়ে তোলেন তাঁদের মন।

রণো বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতায় দুর্গাপুজোর চাকচিক্যে ব্যনার্জি বাড়ির সৃষ্টিশীলতার কথা না বললেই নয়। রণো বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় একজন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। একটি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত। অন্যদিকে তিনি আর্ট কলেজের ছাত্রও ছিলেন। সব মিলিয়ে তার এই সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাই দুর্গাপুজোর মেলবন্ধনকে দেয় এক অন্য মাত্রা।

মৌসুমি চৌধুরী: মৌসুমী বাংলার পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা। তথাকথিত পুরুষ শাসিত ছৌ নাচের নিয়ম ভেঙে নিজেই ছৌ নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে তৈরি করেছেন অল গার্লস ব্যান্ড। এই সমস্ত নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে তিনি পরিবেশন করেন মহিষাশুরমর্দিনী। আর সেখানে দেবী দূর্গার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি নিজে।

এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পিপল অফ পুজোর এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। যে সমস্ত মানুষদের জন্য বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো এত জাকজমকপূর্ণ, তাদের সম্মুখে আনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই সমস্ত মানুষের কাছে দুর্গাপুজো একটি উৎসবই শুধুমাত্র না, এটি তাঁদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন