Water Level

Water level: গরমে ৯ জেলার ৭২টি ব্লকে জলস্তর নামায় চিন্তিত রাজ্য

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্লকগুলি থেকে সাবমার্সিবল পাম্প দিয়ে জল তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৭
Share:

গ্রীষ্মকালে জলকষ্ট যেমন হবে, তেমনই পরে জলে আর্সেনিকের পরিমাণও বাড়তে পারে। ফাইল চিত্র

প্রচণ্ড গরমে দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির। আর তাতেই ৭২টি ব্লকে জলস্তর নেমে যাওয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের ৩৪৩টি ব্লকের মধ্যে ৪২টি ব্লকের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩০টি ব্লককে ‘অংশত আশঙ্কাজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য। কোন জেলার কোন ব্লকে এমন পরিস্থিতি, তার খতিয়ান ইতিমধ্যে হাতে এসেছে রাজ্য প্রশাসনের। সেই সূত্রেই প্রশাসনের কর্তারা আরও জেনেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, আগামী কয়েক মাসে ওই ব্লকগুলিতে তীব্র জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে।

Advertisement

এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার চারটি ব্লককে সবচেয়ে ‘আশঙ্কাজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও ১৩টি ব্লককে ‘অংশত আশঙ্কাজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে পাশের জেলা নদিয়ার স্থান। সেখানে ‘আশঙ্কাজনক’ ব্লকের সংখ্যা আটটি, ‘অংশত আশঙ্কাজনক’ ব্লকের সংখ্যা তিনটি। পূর্ব বর্ধমান জেলার পাঁচটি ব্লককে ‘আশঙ্কাজনক’ ও ‘অংশত আশঙ্কাজনক’ বলা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার দু'টি ব্লককে ‘আশঙ্কাজনক’ ও তিনটি ব্লককে ‘অংশত আশঙ্কাজনক’ বলা হয়েছে। হুগলির আশঙ্কাজনক ব্লকের সংখ্যা ছ'টি ও অংশত আশঙ্কাজনক ব্লকের সংখ্যা তিনটি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শোচনীয় ব্লকের সংখ্যা চারটি ও আংশিক শোচনীয় ব্লকের সংখ্যা পাঁচটি। হাওড়া জেলার একটি করে ব্লক শোচনীয় ও আংশিক শোচনীয় বলে হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভুম জেলার পাঁচটি ব্লক ও চারটি ব্লককে আংশিক শোচনীয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সমস্ত ব্লকগুলি থেকে সাবমার্সিবল পাম্প দিয়ে জল তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, ‘‘মাটির নীচ থেকে দেদার জল তোলার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাষের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে ব্যাপক পরিমাণ জল তুলে নেওয়ার জন্যই জলস্তর নামছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালে জলকষ্ট যেমন হবে, তেমনই পরে জলে আর্সেনিকের পরিমাণও বাড়তে পারে। তাই দফতরে আলোচনা করে একের পর এক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, "গ্রামীণ এলাকায় কৃষিকাজে জলের অপচয় হয় বেশি। গ্রামীণ এলাকার মানুষ এ বিষয়ে সচেতন না হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জল তোলা বন্ধ হলে অংশত আশঙ্কাজনক ব্লকগুলিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো যেতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ক্রিটিক্যাল বা সেমিক্রিটিক্যাল এলাকাগুলিতে নতুন করে সাবমার্সিবল পাম্পের সংযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল ধরে রাখা হবে। তা চাষের কাজে লাগানো যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement