শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, তাঁর মতো রাজ্যের ব্যস্ততম রাজনীতিকের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা সম্ভব নয়। তাই তিনি সেই সব ‘অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে কোনও ভিত্তিহীন বিতর্ক বা জল্পনা তৈরি করা ঠিক নয়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
জেলা স্তরে বিজেপির গ্রুপ ছেড়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসায় জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিরোধী দলনেতাকে না জানিয়ে বিজেপির জেলা স্তরের বেশকিছু গ্রুপে তাঁকে যুক্ত করা হয়। বিষয়টি লক্ষ্য করা মাত্রই একে একে সব গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার খবর চাউর হতেই জল্পনা শুরু হয়। কারণ, সম্প্রতি বিজেপির একাধিক নেতা দলবদলের আগে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন। ওই গ্রুপ-ত্যাগকে দলের প্রতি তাঁদের ‘বিচ্ছেদ-সঙ্কেত’ হিসেবেই দেখা হয়েছে। ফলে শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও সুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল এমন কোনও জল্পনার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, সাংগঠনিক ভাবে রাজ্য বিজেপির একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও তাঁর একটি নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। বিধায়কদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ওই গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছে। এই সব ক’টি গ্রুপেই সক্রিয় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, তাঁর মতো রাজ্যের ব্যস্ততম রাজনীতিকের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা সম্ভব নয়। তাই তিনি সেই সব ‘অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে কোনও ভিত্তিহীন বিতর্ক বা জল্পনা তৈরি করা ঠিক নয়। বা এর মধ্যে সংকীর্ণ রাজনীতিও দেখা উচিত নয়।
তবে এই ঘটনার পর ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে এ ভাবে শীর্ষনেতাদের না-জানিয়ে তাঁদের জেলা স্তরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করার বিষয়ে দলীয় স্তরে বার্তা দেওয়া হতে পারে। এমনই বিজেপি সূত্রের খবর। তার কারণও সেই একই— সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। তাই দল যাতে এমন অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে না পড়ে, সেই বিষয়েই জেলানেতৃত্বের কাছে বার্তা দেওয়া হতে পারে শীর্ষনেতৃত্বের তরফে। রাজ্যের এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘শুভেন্দুদা, দিলীপদা (ঘোষ), সুকান্তদার (মজুমদার) মতো নেতাদের অহেতুক বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রাখার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কারণ, তাঁরা হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। দলের শীর্ষনেতাদের যদি দলের সব রকম স্তরের সাংগঠনিক গ্রুপে রাখা হয়, তা হলে দলের সাংগঠনিক স্তরবিন্যাসের কোনও অর্থ থাকবে না। বিরোধী দলনেতা ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি থেকে বেরিয়ে সঠিক পদক্ষেপই করেছেন।’’