School Dress

School Uniform: চলছে নাম নথিভুক্তি, এক কোটি ছাত্রছাত্রীকে স্কুলের পোশাক দেবে রাজ্য সরকার

প্রতি বছরই সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে ‘ইউনিফর্ম’ দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে দু’টি করে পোশাক দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০৬
Share:

এক কোটি ছাত্রছাত্রীকে দুটি করে স্কুলে পোশাক দেবে রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার পর ধীর গতিতে হলেও ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই এ বার রাজ্যের প্রায় এক কোটি ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে স্কুলের পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রায় এক কোটি ছাত্রছাত্রীকে দু’কোটি স্কুলের পোশাক দেওয়ার কথা। প্রতি বছরই সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুলের পোশাক দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে দু’টি করে পোশাক দেওয়া হবে। আপাতত, গ্রামীণ এলাকা ও শহরতলির বেশ কিছু স্কুলে কতজন পড়ুয়ার কী মাপের পোশাক লাগবে, সেই তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু এত কম সময়ে কীভাবে এক সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে রোষাক দেওয়া সম্ভব তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।তাই এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি এমএসএমই ক্লাস্টারকেও পোশাক সেলাইয়ের কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রথমে ঠিক হয়েছিলশুধু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাই পোশাক সেলাইয়ের কাজ করবেন। এই কাজের জন্য চিহ্নিত করা হয় ৬০ হাজার ৩০৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। এক নির্দেশে বলা হয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি এমএসএমই ক্লাস্টারের সদস্যদেরও এই কাজে যুক্ত করতে হবে। এই ক্লাস্টারের সদস্যরা সারা বছর পোশাক তৈরির কাজই করে থাকেন। তাঁদের যুক্ত করা গেলে আরও দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। প্রশাসনিক এক কর্তার কথায়,‘‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পোশাক সরকার তৈরি করায় বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এখন এমএসএমই ক্লাস্টার এই প্রকল্পে যুক্ত হলে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা পোশাক ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইউনিটগুলি আরও বেশি করে সচল হবে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে যে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে, তাদেরই সেই এলাকার স্কুলের ইউনিফর্ম সেলাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ভাবে প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে জুড়ে দেওয়া হবে তাদের এলাকার স্কুলের সঙ্গে। এর ফলে মাপ নেওয়া থেকে শুরু করে পোশাক পৌঁছে দেওয়ার কাজও দ্রুত সেরে ফেলা যাবে। ফলে পোশাক যোগান দেওয়ার চিন্তা থেকেও অনেকটাই মুক্ত থাকা যাবে।

কলকাতা জেলার স্কুলগুলিতে কতজন ছাত্রছাত্রীর পোশাক লাগবে, সেই তথ্য দ্রুত জমা করতে বলা হয়েছে ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (সুডা)-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের। কলকাতার স্কুলগুলিতে পোশাক সেলাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে মূলত সুডার অধীনে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement