গ্রামীণ প্রশাসনকে মজবুত করতেই পদক্ষেপ পঞ্চায়েত দফতরের। প্রতীকী ছবি
রাজ্যের সব পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে কম্পিউটার শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। জুনের মধ্যেই সব প্রধান-উপপ্রধানরা যাতে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পরিচালনার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করতে পারেন, সেই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনকে। প্রধান ও উপপ্রধানরা দু’দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এই শিক্ষা নেবেন। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, দুটি জেলাকে বাদ রেখে বাকি জেলাগুলির পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলায় থাকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই এই কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ আয়োজনের খরচ প্রত্যেক জেলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম এখন অনেকটাই অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে প্রায় সব কাজই অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ তথা রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতকেই গ্রামীণ এলাকার সিংহভাগ কাজ করতে হয়। তাই প্রধান ও উপপ্রধানদের এই কাজে দক্ষ হওয়া খুব জরুরি বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। তাই ডিজিটাল যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের সড়গড় করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ শিবির থেকে কম্পিউটার চালাবার পাঠ্য বই দেওয়া হবে। এ ছাড়া কম্পিউটার মারফত দৈনন্দিন কাজের জরুরি বিষয়গুলিও শেখানো হবে গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের। তবে এই প্রশিক্ষণ সূচি থেকে আপাতত বাদ থাকছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা।
পঞ্চায়েত দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পঞ্চায়েতের রাজস্ব আদায় থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন জমা করা পর্যন্ত বহু কাজই এখন অনলাইনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও অনেক বিষয় অনলাইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে বলেই পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর। গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষব্যক্তিরা যদি এখন থেকেই কম্পিউটারের সাধারণ ও জরুরি বিষয়গুলি আয়ত্ত না করেন, তাহলে স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনার দুর্বলতাগুলি দূর হবে না। তাতে রাজ্যের গ্রামীণ পরিকাঠামো ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই গ্রামীণ প্রশাসনকে প্রযুক্তিগত ভাবে মজবুত করতেই প্রধান-উপপ্রধানদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে।