industry

বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই তিন শিল্প করিডরের কাজ শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার

তিনটি শিল্প করিডর হল, রঘুনাথপুর-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-খড়্গপুর। এই করিডোরগুলি তৈরি করে শিল্পপতিদের হাতে প্রয়োজনমাফিক জমি তুলে দেওয়া লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। করিডরগুলির দু’ধারে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রায় আট হাজার একর জমি চিহ্নিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৫
Share:

শিল্প সম্ভাবনা বাড়াতে চায় রাজ্য। — ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি আগামী বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) দিন ক্ষণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রাজ্যের তিন শিল্প করিডরের কাজ সম্পন্ন করতে চায় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ওই তিন শিল্প করিডর গড়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এই কাজের জন্য পৃথক নীতিও তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই তিনটি শিল্প করিডোর হল, রঘুনাথপুর-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-খড়্গপুর। এই করিডরগুলি তৈরি করে শিল্পপতিদের হাতে প্রয়োজনমাফিক জমি তুলে দেওয়ায় লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। করিডরগুলির দু’ধারে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রায় আট হাজার একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি, করিডরের কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতেও শিল্প গড়ে উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে জমির মালিকরা স্বেচ্ছায় জমি দিতে চাইলে তবেই সেখানে শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তৈরি হওয়ার পথে।

Advertisement

আগামী শিল্প সম্মেলনের জন্য এখনও প্রায় ছ’মাস সময় রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই করিডর নির্মাণের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়ে নজরদারি করছেন সরকারি আধিকারিকরা। কোনও বিনিয়োগকারী জমি দেখতে এসে যাতে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলতে পারেন, সেই বিষয়টিও আধিকারিকদের মাথায় রয়েছে। তাই আগামী কয়েক মাস এই করিডর নিয়ে নতুন নতুন বিষয় সংযোজনের কথা ভাবছে শিল্প দফতরের আধিকারিকরা। যাতে অভিনব সব বিষয় দেখে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই করিডর ঘিরে পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। এই তিন করিডরের দু’ধারে জমি নিলে রাজ্য সরকার যে শিল্পস্থাপনের জন্য সব রকম সহযোগিতা দেবে, তা-ও তুলে ধরা হবে শিল্প সম্মেলনে। এই করিডর যে শুধুমাত্র রাজ্যের বিনিয়োগ আনবে তাই নয়, এই তিন করিডরের হাত ধরে রাজ্যে দু’লক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। রাজ্যের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই করিডরগুলোর আশপাশে বিনিয়োগ করতে ইতিমধ্যেই বহু সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী শিল্প সম্মেলনের আগে এই বিনিয়োগের সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাবে। ফলে আগামী শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্য সরকারের তরফে বিনিয়োগকারীদের কাছে বড় উপহার হতে পারে এই করিডরগুলি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement