যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগ রাজ্য সরকারের প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এ বার অভিন্ন গতি নীতি কার্যকর করতে চায় রাজ্য সরকার। এই কাজে ইতিমধ্যে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে নবান্ন। চলতি বছর রাজ্যের গতি নীতি তৈরি করতে খড়গপুর আইআইটিকে একটি রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দফতরে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নতুন এই অভিন্ন গতি নীতি তৈরি করতে চায় রাজ্য। সূত্রের খবর, গতি নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেলেই তা পেশ করা হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা এই নীতির ওপর সিলমোহর দিলেই তা দ্রুত কার্যকর করার দিকে এগোবে রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, খড়গপুর আইআইটির যে প্রতিনিধিরা এই সংক্রান্ত রিপোর্টটি তৈরি করে জমা দিয়েছে। তাঁরা রিপোর্টটি তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র, পরিবহণ, পূর্ত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে। এক পরিবহণ দফতরের কর্তার কথায়, "রাজ্য সরকার কি ধরনের গতি নিয়ন্ত্রক নীতি চাইছে সেই বিষয়ে নিজেদের ধারণা স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন খড়গপুরের আইআইটির প্রতিনিধিরা। তাই সরকারের তরফে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে যে যে দফতরগুলির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকবে, সেই দফতরগুলির সঙ্গেই তারা আলোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আশা করছি নতুন বছর শুরুর আগেই এই বিষয়ে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ দেখতে পাবেন রাজ্যবাসী।" সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে কোন রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব তার উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় সড়কে যেভাবে গাড়ি চলবে, সেভাবে রাজ্য সড়কে গাড়ি চালানো যাবে না। দুটি ক্ষেত্রে গতির বিস্তর পার্থক্য থাকবে বলেই উল্লেখ করেছে খড়গপুর আইআইটির প্রতিনিধিরা। এমনকি রাজ্যের কোন এলাকায় কোন সময় গাড়ির গতি কেমন থাকা উচিত তা নিয়েও মতামত জানানো হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের মতে, রাজ্যের গতি নীতি তৈরিতে এই রিপোর্ট খুবই কার্যকরী হবে। কারণ, এলাকাভিত্তিক যান নিয়ন্ত্রণের রিপোর্টের উল্লেখ থাকায় স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব হবে।
রাজ্যের দুর্ঘটনা রুখতে ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক বছর আগে একটি প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ' প্রকল্প কার্যকর করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এবারের অভিন্ন গতি নীতি তৈরির পর তা কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি অন্য দফতরগুলির ও সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।