কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
মেট্রোর সঙ্গে যুক্ত হবে সরকারি বাস পরিষেবা। প্রশাসনিক ভাবে এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হবে ‘ফিডার সিস্টেম’। শনিবার রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা তথা যানজট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মেট্রো স্টেশনগুলিতে আমরা ফিডার সার্ভিস দেব। অর্থাৎ মেট্রো স্টেশনগুলিতে আমাদের যাত্রীরা বাসে এসে নামবেন। আবার ফেরার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা থাকবে। মুম্বই শহরেও এই ধরনের বাস সার্ভিস আছে। ফলে সেখানে লোকাল ট্রেনে করে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। মানুষকে মেট্রো পরিষেবার কাছাকাছি পৌঁছে দিতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর থেকে ‘ফিডার’ সার্ভিস থাকবে। কামারহাটির ভিতরের এলাকা দিয়ে ‘ফিডার’ সার্ভিস থাকবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। সেই রকম মেট্রো রেল জুড়ে ‘ফিডার’ সার্ভিস থাকবে। বাস বা অটো মারফত এই ‘ফিডার’ পরিষেবা থাকেব। ২০৩০ সালের মধ্যে শহরের সব বাস যেমন ব্যাটারি পরিচালিত হয়ে যাবে। তেমনই, সেগুলিকে মেট্রো স্টেশনগুলির সঙ্গে জুড়েও দেওয়া হবে।’’
এই মূহূর্তে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে মেট্রো পরিষেবা রয়েছে। আবার পূর্ব থেকে পশ্চিমেও মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে যাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই। পরিবহণ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, দুটি মেট্রোর ক্ষেত্রেই কি একই পরিষেবা দেবে পরিবহণ দফতর? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকা থেকে যাতে মানুষজনদের এনে সরাসরি মেট্রো পরিষেবার কাছাকাছি আনা যায় সেই চেষ্টাতেই এই উদ্যোগের কথা ভাবা হয়েছে। তাই সব মেট্রো স্টেশনকেই এই ফিডার পদ্ধতিতে আনা হবে।’’ নিজের উদাহরণ দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমি থাকি চেতলায়। আমার কাছাকাছি মেট্রো স্টেশন বলতে কালীঘাট মেট্রো। তাই আমাদের চেতলা থেকে ফিডার পরিষেবা পেতে হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পরিবহণ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিচ্ছি। আগামী দিনে কলকাতাকে যানজট মুক্ত রাখতে হলে ফিডার পদ্ধতি চালু করতে হবে। কলকাতায় মাত্র সাত শতাংশ উন্মুক্ত জায়গা আছে। যেভাবে গাড়ি বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে যানজট বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। যানজট যাতে কম হয় তার জন্য আমরা একাধিক উড়ালপুল করেছি। তবুও আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই ফিডার পরিষেবা দেওয়া হবে।’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘কাজের সূত্রে কলকাতায় আসেন অনেক মানুষ। কলকাতার পরিধিও দিন দিন বাড়ছে। উত্তরে বারাসাত পর্যন্ত এর পরিধি বেড়েছে। দক্ষিণে বানতলা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। তাই মেট্রো রেলই হবে আমাদের প্রকৃত যোগাযোগের মাধ্যম। মুখ্যমন্ত্রী যখন রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, তখন এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।’’