মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছে মোদী সরকার। দাবি করেছে, গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে নিয়ে এসেছে তারা। বাড়িয়েছে কাজের সুযোগ। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটও কার্যত সেই সুরেই বাঁধল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তুলে ধরল দারিদ্র দূরীকরণ এবং বেকারত্বের হার কমানোর পরিসংখ্যান।
এ দিন বাজেট বক্তৃতায় অর্থ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১০-১১ অর্থবর্ষে রাজ্য জিডিপির আয়তন ছিল ৪,৬০,৯৫৯ কোটি টাকা। প্রায় চার গুণ বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা ১৭,০০,৯৩৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির হারের নিরিখে জাতীয় অর্থনীতিকে অতিক্রম করেছে এ রাজ্য। আর তার হাত ধরে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে কাজ। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান উল্লেখ করে চন্দ্রিমার বক্তব্য, চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৯.০৫%। আর পশ্চিমবঙ্গে সেই হার ছিল প্রায় ৩% কম। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই বেকারত্বের হার কমানো গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
একই ভাবে বাজেট বক্তৃতায় দাবি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের ৫৭.৬% মানুষ ছিলেন দারিদ্রসীমার নীচে। ৪৯% মানুষকে দারিদ্রের বৃত্তের বাইরে নিয়ে আসার ফলে সেই হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৮.৬%। এই সময়ের মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবিকার সংস্থান হয়েছে। মোদী সরকারের মতোই নীতি আয়োগের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রীর বক্তব্য, দারিদ্রের বাইরে বার হয়ে এসেছেন ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ। তবে একই সঙ্গে মোদী সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে চন্দ্রিমা দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে রাজ্যকে প্রাপ্য অর্থ থেকে ক্রমাগত বঞ্চিত করে চলেছে। তা সত্ত্বেও সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে গত বছর ৪৩ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারের জন্য ১১ কোটি কর্মদিবস তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। চলতি অর্থবর্ষে ৬৪ কোটি জবকার্ড হোল্ডারের জন্য তৈরি হয়েছে ২৮ কোটি কর্মদিবস।