বেসরকারি বাস চালাতে ‘ডেডিকেটে় সিএনজি ইঞ্জিন’ বসবে বেসরকারি বাসে। ফাইল চিত্র
ক্রমবর্ধমান ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে বাস মালিকদের। বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। এ বার বিকল্প পথে ভাড়া কম রেখে বাস পরিষেবায় ডিজেলের বদলে সিএনজি-র (কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস) ব্যবহার শুরু করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার। বাস ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিকল্প পথে যাত্রীদের বাস পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে বাস মালিকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে পরিবেশ দফতর। উৎসবপর্ব মিটে গেলেই বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই ডিজেলের বদলে বাস সিএনজি দিয়ে চালানোর বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা হবে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বাস মালিকদের দু'টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’ ও দ্বিতীয়টি ‘ডেডিকেটে় সিএনজি ইঞ্জিন’। ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’-এর ক্ষেত্রে বাস ডিজেল ও সিএনজি উভয় দিয়েই চালানো যাবে। আর ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’ দিয়ে শুধুমাত্রই সিএনজি চালিত বাসই দিয়ে চালানো যাবে বাসে। বেশির ভাগ বাস মালিকই ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’-এর পক্ষে। কারণ এই পদ্ধতিতে কম খরচে বেশি দূরত্বে বাস চালানো যাবে। বাস মালিকরা আর ডিজেলের ভরসায় বাস চালাতে নারাজ।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, একেকটি বাসে সিএনজি-র ইঞ্জিন লাগাতে খরচ হবে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। বাস মালিকরা চাইছেন, যেহেতু অতিমারির কারণে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে। তাই নতুন সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে ভর্তুকি দিক রাজ্য। বাস মালিকদের এমন প্রস্তাবে রাজি নয় পরিবহণ দফতর। রাজ্য আংশিক ভর্তুকি দেওয়ার পক্ষে। তাই বাস মালিকদের সঙ্গেই এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে পরিবহণ দফতর। সাবার্বান বাস সার্ভিসেস-এর পক্ষে টিটো সাহা বলেন, ‘‘আমরা চাই ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’ লাগিয়ে কম খরচে বাস পরিষেবা দিতে। এ বিষয়ে পরিবহণ দফতর আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছে। আমরা আলোচনার টেবিলেই আমাদের সব দাবি নিয়ে সরব হব।’’