আবাস যোজনা প্রকল্পে নিজেদের উদ্যোগে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ না দেওয়ায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার আবাস যোজনা প্রকল্পেও নিজেদের উদ্যোগে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে নবান্ন। সেই লক্ষ্যে একটি নতুন পোর্টাল চালুর করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাকে ইস্যু করে লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের রণকৌশল সাজিয়েছে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে ভোটের প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল। সেই আবহে আবাস প্রকল্পের টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্র টাকা না দিলে আবাস যোজনার ১১ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির টাকা দেবে নবান্ন। এ বছরের বাজেটেই এ কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো ভোটপর্ব মিটে গেলে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা দিতে একটি নতুন পোর্টাল চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের সময় নতুন ঘোষণা সম্ভব না হলেও, পোর্টাল তৈরির কাজ চালাতে কোনও বাধা নেই। এখন পোর্টাল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ সেরে রাখা হচ্ছে। যাতে ভোটপর্ব মিটলেই টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিতে পারা যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, এই পোর্টালের কার্যকারিতা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও সেরে ফেলেছেন পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকেরা।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির প্রশাসনিক সম্মতি দেওয়ায় রাজ্যের উপভোক্তাদের বাছাইয়ের কাজ চালায় পঞ্চায়েত দফতর। তৈরি হয় চূড়ান্ত তালিকা। তবে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে পুনরায় উপভোক্তাদের বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। কারণ শেষ বার যাচাইয়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময়। এই সময়কালে কিছু আবেদনকারী অর্থের সংস্থান করে ঘর তৈরি করে ফেলেছেন বলে মনে করছে পঞ্চায়েত দফতর। তাই সব দিক বিবেচনা করে এবং খতিয়ে দেখে তবেই উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। সেই কারণে ডিসেম্বর মাসে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।