কারণ, কর নির্ধারণে ভ্রান্তি থেকে গেলে করদাতাদের যেমন সমস্যা হয়, তেমনই রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে রাজ্য সরকার। তাই সব দিক বিবেচনা করেই অর্থ আইনে সংশোধনী এনে প্রফেশনাল কর প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি নিজেদের হাতে এনেছে রাজ্য।
প্রফেশনাল কর প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা দু’মাস বাড়ানো কথা জানানো হল। ফাইল চিত্র
প্রফেশনাল কর প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা দু’মাস বাড়ানো কথা জানানো হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। শুক্রবার ফিন্যান্স অপ্রোপিয়েশন (সংশোধনী) বিল পাশের সময় প্রস্তাব আকারে এ কথা জানান রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “প্রফেশনাল কর প্রদানের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।’’ এর পরেই চন্দ্রিমা বিধানসভায় বিলে সংশোধনী এনে এই প্রস্তাব পাশ করান। ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়েছে। এত দিন সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত রাজ্য সরকারকে। তাই আইন সংশোধন করে সরকার এ বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের রাস্তা প্রশস্ত করেছে। বারবার অনুমতি চেয়ে বিলে সংশোধনী আনার ঝঞ্জাট থেকে মুক্তি পেতে গোটা প্রক্রিয়া নিজেদের হাতে আনল অর্থ দফতর। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভা সংশোধনী বিল মারফত পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এ বার থেকে সরকার চাইলে প্রফেশনাল কর গ্রহণের সময়সীমা নিজেদের ইচ্ছেমতো বাড়াতে পারবে।
প্রফেশনাল কর গ্রহণের ক্ষেত্রে অনলাইন মডিউল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। গত বছর নভেম্বর মাস থেকে এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। দেখা যাচ্ছে, ১৫,৩৬৫টি অভিযোগ নথিভুক্ত হলেও সমাধান হয়েছে মাত্র ৫০৫টি কেসের। তাই দ্রুত বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করার কথা ভেবেই এই সময়সীমা বাড়ানো প্রস্তাব গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রের খবর, বহু ক্ষেত্রে করদাতা ও করগ্রহিতা— দু’পক্ষেরই অসুবিধা হত। বহু ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ করায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই সময়ের অভাবে যাতে কর নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় কোনও গলদ না থেকে যায়, সেই বিষয়টিকে ঠিক করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারণ, কর নির্ধারণে ভ্রান্তি থেকে গেলে করদাতাদের যেমন সমস্যা হয়, তেমনই রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে রাজ্য সরকার। তাই সব দিক বিবেচনা করেই অর্থ আইনে সংশোধনী এনে প্রফেশনাল কর প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি নিজেদের হাতে এনেছে রাজ্য।