—প্রতীকী ছবি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বদলাচ্ছে অপরাধের প্রকৃতি। নিখুঁত প্রমাণাভাবে অপরাধীদের যোগ্য সাজাও অনেক ক্ষেত্রে থেকে যায় অধরা। এই অবস্থায় দীর্ঘ বহু বছর পরে ফরেন্সিক বিভাগকে মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি, সাইবার অপরাধ ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে ‘সাইবার ফরেন্সিক’ বিভাগও চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।
অভিজ্ঞ পুলিশ-কর্তাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ফরেন্সিকের বর্তমান যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে এত বড় রাজ্যের কোনও প্রান্তে অপরাধের তদন্তে সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া সমস্যার। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সেই কর্মী-অভাব কাটাতে আপাতত প্রায় ৯০ জনকে নিয়োগের পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য। তাঁদের মধ্যে ‘সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার’, ‘সাইন্টিফিক অফিসার’ এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মী নিয়োগ হবে। তাতে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরাও থাকবেন, যাঁরা আদালতের সামনে কোনও ফরেন্সিক তদন্তের দায় গ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য, এখন কলকাতা, দুর্গাপুর এবং জলপাইগুড়িতে ফরেন্সিক পরিকাঠামো আছে। মালদহের সরকারি জমিতে আরও একটি পরিকাঠামো তৈরির ভাবনাচিন্তা চলছে। তাতে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ ভাগ করে সেই বিভাগ সক্রিয় থাকবে। সেই সঙ্গে ‘সাইবার ফরেন্সিক’ বিভাগ চালুর পথে হাঁটছে রাজ্য। প্রবীণ আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল-এ নমুনা পাঠাতে হতো। এখন তা রাজ্যের ফরেন্সিক পরীক্ষাগারেই হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকে জানাচ্ছেন, এই সব পরিকল্পনাগুলি কার্যকর হলে অনেকটাই আধুনিক করে তোলা যাবে রাজ্যের ফরেন্সিক বিভাগকে।
অর্থ-কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফরেন্সিকের বিশেষজ্ঞদের বেতন-কাঠামো তুলনায় বেশ কম। তাঁদের বেতন অন্তত সহকারি অধ্যাপকদের মতো হওয়া প্রয়োজন। না হলে তাঁদের মধ্যে চাকরি বদল করার প্রবণতা ঠেকানো সম্ভব নয়। ফলে বেতন কাঠামোর সংস্কারের উপরেও বাড়তি জোর পড়েছে। সব পরিকল্পনামাফিক চলতে তা কার্যকরও করতে
পারে সরকার।