আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ফাইল চিত্র।
আগামী বছরেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে ভোটের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন। আর পঞ্চায়েত দফতরও কাজে গতি আনতে এ বার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে তাঁদের যাবতীয় উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা জানাতে নির্দেশ দিল। এই মর্মে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে পঞ্চায়েত দফতর। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজ হল ২০২৩-২৪ সালের জন্য আর্থিক বছরের জন্য পঞ্চায়েতের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার বাজেট তৈরি করা। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও মহকুমা পরিষদকেও পরিকল্পনার কাজ চূড়ান্ত করে ‘স্বরাজ’ পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। একটি গ্রামকে সুসংহত গ্রাম তৈরি করার পরিকাঠামোর ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এই কাজে মূলত ৯টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সেই বিষয়গুলি হল:
১. দারিদ্রমুক্ত ও উন্নততর জীবিকার সুযোগসম্পন্ন গ্রাম
২. সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন গ্রাম
৩. শিশুবান্ধব পরিবেশ
৪. নির্মল ও সুবজ গ্রামের পরিবেশ
৫. পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা
৬. গ্রামীণ পরিকাঠামোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা
৭. সামাজিক ভাবে সুরক্ষিত গ্রামের পরিবেশ তৈরি করা
৮. সুশাসনের ব্যবস্থা করা
৯. নারীবান্ধব গ্রামীণ পরিবেশ তৈরি করা।
প্রশাসনের একাংশের মতে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তবে পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই পরিকল্পনা তৈরি করে সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। কারণ, সরকার আগামী দিনে গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে কী ভাবে এগোবে, তা ঠিক করতেই নীচুতলার পঞ্চায়েতের থেকে এই পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। তাই পরিকল্পনা যথা সময়ে জমা পড়ে গেলে ভোটের পরেও সেই কাজ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সে দিকে নজর না দিয়ে নিজেদের কাজেই মন দিতে চান পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা।