mukul roy

Mukul Roy: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় ১১ মে রায়দান করবেন স্পিকার

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায়দান করেন স্পিকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁর কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি পরিষদীয় দল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২২ ১২:১৮
Share:

আগামী ১১ মে মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মুকুল রায় দলত্যাগ করেছেন কি না বা তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হবে কি না, তা নিয়ে আগামী ১১ মে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল দু'পক্ষকেই। কিন্তু সেই শুনানিতে অংশ নেননি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী বা তাঁর আইনজীবীরা। অন্য দিকে মুকুলের আইনজীবী সায়ন্তক এসেছিলেন সেই শুনানিতে অংশ নিতে। সেখানেই স্পিকার বলেছেন, আগামী ১১ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি। এ বিষয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, তারা তাদের যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছে। এ বার স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানানোর পালা। ২৯ তারিখের শুনানিতে ওই তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু, স্পিকারের দফতর সূত্রে খবর, বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে জমা দেওয়া তথ্য-প্রমাণে কারও সই নেই।‌

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায়দান করেন স্পিকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁর কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি পরিষদীয় দল। সেই মামলার শুনানিতে ১১ এপ্রিল দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি সংক্রান্ত মামলায় বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ফের শুনানি হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারের তত্ত্বাবধানে। এ বার ১১ মে রায় দানের পালা। উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয় লাভ করেন মুকুল। কিন্তু, ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement