শহিদ মিনার ময়দানে অবস্থানরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্নার মঞ্চের কাছে সেনা। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
উপরে ছাউনি নেই। শুধু বাঁশের কাঠামো। খোলা আকাশের নীচেই রবিবার রাতে ধর্না মঞ্চে থাকতে হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের। ধর্নাকারীদের সঙ্গে খোলা আকাশের নীচে থাকছেন গত ১৬ দিন ধরে টানা অনশন করতে থাকা তিনজন অনশনকারীও।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের মাঠে ৩৭৩ দিন ধরে ধর্না অবস্থান চালাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ওই মঞ্চের সদস্যদের দাবি, শনিবার রাতে সেনাবাহিনীর তরফে তাঁদের জানানো হয়, শহিদ মিনারের নীচে ধর্না অবস্থান চালানোর অনুমতি থাকলেও কোনও ছাউনি দেওয়ার অনুমতি নেই। এই ছাউনি এখনই ভেঙে ফেলতে হবে। মঞ্চের এক সদস্য জানান, তাঁরা সেনাবাহিনীকে আশ্বাস দেন, তাঁদের নির্দেশ মতোই রবিবার সকাল থেকে ছাউনি খোলা শুরু হয়ে যাবে।
সেই মতো রবিবার সকাল থেকে সেই ছাউনি খোলার কাজ শুরু হয়। মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারের চাপে পড়ে সেনাবাহিনী মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ নিয়ে এসেছে। আমরা গত ৩৭৩ দিন ধরে ছাউনির মধ্যে ধর্না অবস্থান চালাচ্ছি। এটা এতদিন তাদের নজর পড়ল না? কার নির্দেশে তাঁরা এসেছেন, তা তাঁদের বারবার জিজ্ঞেস করতে ওঁরা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁরা ছাউনি খুলতে বলছেন।’’
ভাস্কর জানিয়েছেন, তাঁরা আদালতের অনুমতিতেই শহিদ মিনারের নীচে ধর্না মঞ্চ করেছেন। ছাউনির জন্য অনুমতি চেয়ে সেনাবাহিনীকে চিঠিও লিখেছিলেন। তাঁরা ফের সেনাবাহিনীকে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেবেন। তার কোনও সদুত্তর না পেলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
ভাস্করের দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এটা হচ্ছে। এ এক চরম অমানিবকতার নির্দশন। যাঁরা অনশন করছেন, তাঁদের কথা কেউ ভাবল না? খোলা আকাশের নীচে
এঁদের রাত কাটাতে হবে? রবিবার নওসের চৌধুরি নামে এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ফের হাসপাতাল থেকে অনশন মঞ্চে এসে বসেছেন।’’