বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্ব পরিবহণ দফতরের হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হল শিল্প দফতরের হাতে। প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গ বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্ব হাতবদল হল। সম্প্রতি সম্প্রসারণের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের হাতে। এত দিন এই দায়িত্বে ছিল পরিবহণ দফতর। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বণিকমহল রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবেই রাজ্যের বিমানবন্দরগুলির সম্প্রসারণের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছিল।প্রস্তাবের কথা জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। তার পরেই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে রাজ্য সরকারের অংশের দায়িত্ব পরিবহণ দফতরের হাত থেকে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও, বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ সাধারণত করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যে রাজ্যে বিমানবন্দরটি থাকে, সেই রাজ্য সরকারকেও বেশ কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজের দায়িত্ব দেওয়া থাকে। বিমানবন্দর গড়ার কাজে জমি অধিগ্রহণের বিষয়েও বড় ভূমিকা থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের। তাই গত সপ্তাহে নবান্নে রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করে বিমানবন্দর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্ব শিল্প দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে বিনিয়োগ টানতে বিমান পরিষেবার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। কোচবিহার থেকে শুরু করে মালদহ বিমানবন্দর সম্প্রসারণের পাশাপাশি কলকাতার কাছাকাছি দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতা সংলগ্ন নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তার কথা মুখ্যমন্ত্রীও উল্লেখ করেছিলেন। তাই সম্প্রসারণের কাজে গতি আনতে দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্য শিল্প ও বাণিজ্য দফতরকে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোচবিহার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করতে একটি সমীক্ষা চালিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতর এই কাজের জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে রাজ্য প্রশাসণকে জানিয়েছে। পুরুলিয়ার ছররায় একটি বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করারও উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই কাজের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরকেই।