কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সাসপেন্ড হলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র।
সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর সাসপেনশনের নির্দেশিকা জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ অনুসারে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদ্যযন্ত্রী শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। অভিযোগ, তা পালন করেননি রেজিস্ট্রার।
এ দিন উপাচার্যের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কোর্টকে জানান, ওই নির্দেশ পালনের বিষয়ে কর্মসমিতি সদর্থক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রার তা পালন করেননি। তার পরেই রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন বিচারপতি। উপাচার্য যাতে ওই নির্দেশ পালন করেন সে কথাও জানান। উপাচার্য ওই নির্দেশ পালনের বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন। সাসপেন্ডের ব্যাপারে সুবীর মৈত্রকে ফোন এবং মেসেজ করে সাড়া মেলেনি।
মামলার আবেদনকারী পার্থ ঘোষ নামে এক বাদ্যযন্ত্রী শিক্ষক। তাঁর আইনজীবী পীযূষ চতুর্বেদী ও তরুণকুমার দাস কোর্টে জানান, ১৯৮৫ সালের বিধি অনুযায়ী তাঁদের মক্কেল শিক্ষক সমতুল পদের অধিকারী এবং এই বাদ্যযন্ত্রী-শিক্ষকদের নিয়ে এর আগেও হাই কোর্টের নানা নির্দেশ আছে। তা সত্ত্বেও ৬০ বছরে অবসরের চিঠি ধরানো হচ্ছে। সেই মামলায় সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে গত সেপ্টেম্বরে বিচারপতি চন্দ অবসরের বয়স ৬৫, বকেয়া বেতন মেটানো এবং একই গোত্রের বাকি শিক্ষকদেরও অবসরের বয়স ৬৫ করতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পালন না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলায় শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব এবং রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারকে কোর্টে তলব করা হয়েছিল। রেজিস্ট্রার কোর্টে এসে জানান, তিনি ওই নির্দেশ পালন করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, এর আগেও রেজিস্ট্রার এবং রবীন্দ্রভারতীর পূর্বতন উপাচার্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল। সে বার তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর।