সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া বিজ্ঞপ্তির বয়ান অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় ১০ মে-র মধ্যে একটি বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে। তার পর ১৭ মে-র মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা। ২৪ জুন ইন্টারভিউয়ে কত জন ডাক পাবেন, তার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।
গ্রন্থাগারে ৭৩৮ শূন্যপদে নিয়োগ। প্রতীকী ছবি
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গ্রন্থাগারগুলিতে শীঘ্রই শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে দফতর। এ বার সেই মতো পদক্ষেপ শুরু করল গ্রন্থাগার দফতর। সম্প্রতি গ্রন্থাগারগুলিতে শূন্য হয়ে পড়া ৭৩৮টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে গ্রন্থাগারিক না থাকায় বিভিন্ন জেলায় লাইব্রেরি পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ এসেছিল দফতরে। সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
জেলাভিত্তিক ভাবে কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে, তার তালিকা আগেই প্রকাশ করেছিল গ্রন্থাগার দফতর। দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলার প্রতিটিতে গ্রন্থাগারিক পদে ৫০ জনের উপর গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করতে হবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যথাক্রমে শূন্যপদের সংখ্যা ৪৪ এবং ৪০ জন, নদীয়ায় ৩৭, মুর্শিদাবাদে ৩৬, কলকাতায় ৪০, বীরভূমে ৩৮টি পদ খালি রয়েছে। গ্রন্থাগারিকের সংখ্যায় এই বিপুল ঘাটতির কারণে বর্তমানে কর্মরত প্রত্যেক গ্রন্থাগারিককে দুই থেকে তিনটি করে লাইব্রেরির দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে। এই ৭৩৮টি শূন্য পদে নিয়োগের ফল সেই চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া বিজ্ঞপ্তির বয়ান অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় ১০ মে-র মধ্যে একটি বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে। তার পর ১৭ মে-র মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা। ২৪ জুন ইন্টারভিউয়ে কত জন ডাক পাবেন, তার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণের ফলে রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির কাজে স্থবিরতা এসে গিয়েছিল। নতুন করে নিয়োগ হলে, সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেই মনে করছেন জনসাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই শূন্য পদে নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছিল অর্থ দফতর। দ্রুত নিয়োগ করে গ্রন্থাগারগুলিকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর আবেদন করেছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে মোট শূন্যপদের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। তাই আগামী দিনে রাজ্য সরকার আরও বেশি নিয়োগ করবে বলেই আমরা আশা করব।’’