নতুন দাম কার্যকর হবে নতুন বছরে। প্রতীকী ছবি।
ওষুধের দামের ক্ষেত্রে নতুন বছর শুরুর মুখে কিছুটা স্বস্তি। রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ ১২৯টি ওষুধের দাম কমিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে হৃদরোগ-ডায়াবিটিস-ক্যানসার-অ্যালার্জির ওষুধ। তবে নতুন দাম কার্যকর হবে নতুন বছরে।
বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শঙ্খ রায়চৌধুরী জানান, প্রথমে ১০৭টি ওষুধের দাম কমানো হয়েছিল। তারপরে গত ১৯ ডিসেম্বর ফের আরও ১২টি মত ওষুধের দাম কমানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে নতুন দামের ওষুধ হাতে পেতে এখনও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। শঙ্খ বলেন, ‘‘মানুষ যদি ভাবেন কাল থেকেই নতুন দামে ওষুধ পাবেন, তা নয়। নতুন দামের ওষুধ পেতে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে পারে। দাম কমের ফলে মানুষের উপকার হবে ঠিকই। সেই সঙ্গে এর সঙ্গে যে কর রয়েছে, সেটিও তুলে দিলে সকলেরই উপকার হবে।’’
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক মাস আগে ওষুধের দামের পুর্নমূল্যায়ন করার সময় সাধারণ প্যারাসিটামলের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দামও। এবারে নির্দেশিকাতে দেখা যাচ্ছে, জ্বর, ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হেপাটাইটিস-সহ অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। কেমোথেরাপি, ম্যালেরিয়াতে ব্যবহৃত ওষুধের দামও কমছে। ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, রাজ্য শাখার সভাপতি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার অনুযায়ী জীবনদায়ী ও অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম মাঝেমধ্যেই কমায় বা বাড়ায় ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’। তবে এ বারে কমেছে সেটা সুখের খবর।’’