—প্রতীকী ছবি।
মদের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে আগ্রহপত্র (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বা ইওআই) চাওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রধানত বিদেশি মদ এবং বিয়ারের দাম বাড়বে বলে খবর।
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির উৎপাদন খরচ খতিয়ে দেখতে সাধারণত প্রতি বছরই ইওআই চাওয়া হয়। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে মদের উৎপাদন খরচও বাড়ে সমান্তরালে। ইওআই-এর মাধ্যমে উৎপাদক সংস্থাগুলি বর্ধিত দাম প্রস্তাব করে। তার উপরে রাজ্যের কর ইত্যাদি যোগ হয়ে বিক্রির দর চূড়ান্ত হয়। রাজ্যে শেষ বার দাম বেড়েছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ। মনে করা হচ্ছে, এ বছর দেশে প্রস্তুত, দেশে বোতলবন্দি করা বিদেশি মদের ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে। বিয়ারের ক্ষেত্রে দাম বাড়তে পারে ২০-৩০ টাকা।
অভিজ্ঞ আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, সাধারণত, ৮০০ টাকা দামের বিদেশি মদের বোতলের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। ফলে সেগুলি তুলনায় বেশি দামি হতে পারে। আবার বিয়ারের জোগান প্রায় গোটা বছর ধরেই প্রয়োজনের তুলনায় অল্প থাকে। ফলে সেই পণ্যের দামও তুলনায় বাড়তে পারে বেশি। সরকারের লক্ষ্য, প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে এ রাজ্যে মদের দামে একটা সমতা রাখা। তবে দামি বিদেশি মদের (প্রধানত সরাসরি বিদেশ থেকে আনা বোতল) দাম ততটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অর্থ-কর্তাদের একাংশের দাবি, গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) বাজেটে (সংশোধিত) আবগারি বা মদ বিক্রির খাতে রাজ্যের আয় ছিল প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) বাজেটে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু সেই অঙ্কই ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানান, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যকে জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের উপর ছাড় বা পেট্রল-ডিজ়েলের উপর কর ছাড়ের রাস্তা থেকে সরতে হয়েছে। একই কারণে মদেরও দাম বৃদ্ধির পথে হাঁটতে হচ্ছে।