অমর্ত্য সেন। ফাইল চিত্র।
‘বিতর্কিত’ ১৩ ডেসিমাল জমি ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ সংবলিত নোটিস বুধবার রাতে ‘প্রতীচী’ বাড়ির গেটে সাঁটিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সেই নোটিস ছিঁড়ে ফেলা হল। ১৯ এপ্রিল জমি বিতর্কের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হবে বিশ্বভারতীর তরফে। আরও একটি নোটিস কয়েক দিন আগে ‘প্রতীচী’র গেটে লাগানো হয়েছিল, সেই নোটিসও ছেঁড়া হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়।
অনেকেই মনে করছেন অমর্ত্য সেনের শুভাকাঙ্ক্ষীরাই হয়তো এমন কাজ করেছেন। প্রতীচী বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা গীতিকণ্ঠ মজুমদার বলেন, “কে নোটিসগুলি ছিঁড়ে ফেলেছে, তা আমাদের জানা নেই। তবে প্রতীচী বাড়িটি বহু মানুষ দেখতে আসেন। অনেকে এই বাড়ির ছবিও তুলে নিয়ে যান। অমর্ত্য সেনের মতো এক জন মানুষের বাড়ির সামনে বিশ্বভারতীর এ ভাবে নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়াকে অনেকেই হয়তো মেনে নিতে পারেননি।” তবে এ নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্য দিকে, অমর্ত্য সেনের প্রতি বিশ্বভারতীর আচরণের প্রতিবাদ ক্রমেই বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ ও ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ একটি বিবৃতিতে বিশ্বভারতীর নিন্দা করেছে। বিবৃতিতে বহু বিদ্বজ্জনের নাম রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত কিছু জমি অধ্যাপক সেন ভোগ করছেন, এটাকে তাঁর সজ্ঞান অপরাধ ধরে নিয়ে বিশ্বভারতী তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করেছে এবং তাঁর প্রতি নানা অপমানজনক ব্যবহার করে চলেছে। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পতি হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অধ্যাপক সেনকে তাঁর পৈত্রিক গৃহ থেকে উৎখাত করতে উদ্যত হওয়ার এই ঘটনা আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী কেন এ বিষয়ে ‘গভীর মৌন’, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।