কলকাতা হাই কোর্ট ফাইল চিত্র
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে চার দিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের কাছ থেকে এক কোটি টাকা নিয়ে তা আদালতে জমা রাখার আর্জি করলেন ডিএ মামলার আইনজীবী। যা শুনে বিচারপতিদের মন্তব্য, রাজ্য আর কোথায় যাবে! পালিয়ে যেতে পারবে না তো!
মঙ্গলবার ডিএ মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের আইনজীবী আমজাদ আলি আদালতে সওয়াল করেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারে যে ভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে বকেয়া ডিএ-এর জন্য এক কোটি টাকা আদালতে জমা রাখুক রাজ্য। তবে বাদী পক্ষের ওই দাবি খারিজ করে দেন বিচারপতিরা। তাঁদের মতে, রাজ্য আর কোথায় যাবে! যা দেবার সে তো রাজ্যই দেবে।
আমজাদ বলেন, ‘‘মূল্য বৃদ্ধির নিরিখে ডিএ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহমত নয় রাজ্য। তাদের কাছে সরকারি কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।’’ ওই বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা বলেন, ‘‘মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তো রাজ্যের কিছু দেওয়া উচিত।’’ অন্য দিকে, রাজ্যের কৌঁসুলি কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে রাজ্য। হিসাব মেনে ধাপে ধাপে ১২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। বাকিটা নিয়েও আলোচনা চলছে।’’ আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।