রাজ্যে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পরিকাঠামো দেখতে চায় বাংলাদেশ সরকার। প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গের প্রাণী সম্পদ দফতরের পরিকাঠামো দেখতে চায় বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি তারা এই মর্মে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য প্রাণী সম্পদ দফতরের কাছে। দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বিষয়টি জানান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। তার পরে বাংলাদেশ সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য স্বয়ং কথা বলেন দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে। ফোনালাপে রাজ্যে এসে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কাজ খতিয়ে দেখার কারণ প্রসঙ্গেও জানান তিনি। জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপনও তাঁকে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যেহেতু পরিদর্শন সংক্রান্ত বিষয়টি একটি আন্তঃরাষ্ট্রিক বিষয়, সেহেতু তা নির্দিষ্ট আইন মেনেই হওয়া উচিত বলেও বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
স্বপন দেবনাথ বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মন্ত্রী আমাদের পরিকাঠামো দেখতে চেয়েছেন। আমরা সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু সবার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ও ভারত সরকারের আইন মোতাবেক আবেদন করতে হবে।’’ প্রাণীসম্পদ দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশের মন্ত্রীকে দেখানো হতে পারে হরিণঘাটার মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। দেখানো হতে পারে হরিণঘাটার বুল মাদার ফার্মও। সেই তালিকায় রয়েছে, কল্যাণীর ডাক ব্রিডিং ফার্ম ও পরিবেশবান্ধব পোল্ট্রি ফার্ম। কল্যাণীর বুদ্ধপার্কে রয়েছে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের গবেষণাগারে ব্যবহৃত প্রাণীদের পালন কেন্দ্রও। মূলত এই কেন্দ্রগুলিতেই নিয়ে যাওয়া হতে পারে বাংলাদেশের মন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে।
প্রাণীসম্পদ দফতরের এক কর্তার কথায়, পরিকাঠামোগত দিকগুলি পরিদর্শন করে যদি বাংলাদেশ সরকার আমাদের সহযোগিতা চান, অবশ্যই তা করা হবে। কিন্তু তা করতে হবে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই।