দীর্ঘ ভর্তি প্রক্রিয়াই বাধা নয়া ব্যবস্থায়

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কলকাতাতেও সিবিসিএস চালু হতে চলেছে। প্রথম চালু হচ্ছে বাণিজ্য শাখায়। এতে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। বিষয় বাছার ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বাধীনতা পাবেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলির ভর্তি প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলায় পঠনপাঠনের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি, ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) সফল হওয়ার সম্ভাবনাও কম। শনিবার নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বার্ষিক সভায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কলকাতাতেও সিবিসিএস চালু হতে চলেছে। প্রথম চালু হচ্ছে বাণিজ্য শাখায়। এতে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। বিষয় বাছার ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বাধীনতা পাবেন পড়ুয়ারা।
কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কলেজগুলিতে জুলাই মাসের বদলে ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়িয়ে যায়।

অধ্যক্ষ পরিষদ মনে করে, এমন হলে সিবিসিএস-এর সিমেস্টার পরীক্ষা হতেও দেরি হবে। যার জেরে পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হবে। আর তাতে পুরো প্রক্রিয়াই ভণ্ডুল হওয়ার সম্ভাবনা। অনুষ্ঠানে হাজির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর আশ্বাস দেন, এর পর থেকে পরীক্ষা শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, গত জুলাই মাসে বিএ, বিএসসি পার্ট ওয়ান জেনারেলের পরীক্ষা শেষ হলেও তার ফল প্রকাশ হয়নি এখনও। এ দিন পরীক্ষা নিয়ামক জয়ন্ত সিংহ খাতা দেখে যে সব কলেজ নম্বর পাঠায়নি, তাদের তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। তা দেখে চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, খাতা দেখার কম পারিশ্রমিক, খাতা দেখলেও সেই পারিশ্রমিক বহু দেরিতে পাওয়ায় অনেক শিক্ষক খাতা দেখতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ দিনের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি করা কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষরা জানান, এই পড়ুয়ারা অন্য কোনও কলেজে ভর্তি হননি। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এঁদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেননি। ফলে তাঁদের একটি বছর নষ্ট হতে বসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement