(বাঁ দিকে) কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দৃশ্য। আহত মালগাড়ির সহ-চালক মনু কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
যে সিগন্যালে সোমবার সকালে (১৭ জুন) দাঁড়িয়ে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, তার আগে, রেলের লাইনে বাঁক রয়েছে। দাবি, সেখান থেকে লাইনে সামনে কী রয়েছে তা বোঝা ‘কষ্টকর’। মালগাড়ি যখন বাঁকের সে অংশ পেরোচ্ছে, তখন উল্টো দিক থেকে আসা আর একটি ট্রেন পাশের লাইনে ছিল। তাতে সামনের অংশ দেখতে ‘আরও সমস্যায়’ পড়েন মালগাড়ির চালক অনিল কুমার, সহকারী চালক মনু কুমারেরা। দুর্ঘটনার পর থেকে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন মনুর সঙ্গে রেলের কিছু আধিকারিক দেখা করেন। নার্সিংহোমের চিকিৎসক, নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি, রেলের চিকিৎসকও এসে দেখছেন। তাঁদের একাংশের কাছে বিভিন্ন সময় মনু কুমার টুকরো টুকরো কথা বলছেন। তা থেকে এমনই কিছু তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি সূত্রের। তবে সিগন্যাল খারাপ থাকার ‘মেমো’ পাওয়ার পরেও মালগাড়ি কেন নির্দিষ্ট গতিবেগের চেয়ে বেশিতে চলছিল, সে সংক্রান্ত তথ্য মেলেনি।
দুর্ঘটনায় পায়ে, কব্জিতে, কাঁধে চোট লেগেছে। মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত মনু। মনোরোগ বিশেষজ্ঞও দেখেছেন তাঁকে। বৃহস্পতিবার দুপুরেও রেলের ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করেন। তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সূত্রের দাবি, দুর্ঘটনার পর থেকে ‘আচ্ছন্ন’ মনু মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃত মালগাড়ির চালক অনিল কুমারের খোঁজ করছেন। কথা হলেই মনু দাবি করেছেন, অনিল কুমার একই লাইনে ট্রেন দাঁড়ানো দেখে চিৎকার করে তাঁকে জানান, তিনি ইঞ্জিনের সামনের ব্রেক কষছেন, মনু যেন পিছনের ব্রেক পুরোদমে কষেন। তাতে মালগাড়ির উল্টোলে, উল্টোবে। এ সব তথ্যের কতটা ঠিক, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।