জুট মিলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। নিজস্ব চিত্র।
জুট মিলগুলির শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল শ্রম দফতর। চলতি বছর ১৯ জুলাই রাজ্য শ্রম দফতর ও জুট মিল মালিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই শ্রম দফতর জানতে পারে জুট মিলগুলিতে প্রকৃত শ্রমিক অপ্রতুলতার কথা। শ্রম দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের জুট মিলগুলিতে প্রায় এক লক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। গড়ে প্রত্যেক জুট মিলে ৩০ শতাংশ কম শ্রমিক রয়েছে।তাই প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে ঠিক হয় রাজ্যের জুট মিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিক সরবরাহের দায়িত্ব নেবে শ্রম দফতর।
শুক্রবার জুট মিল মালিকদের সঙ্গে কাঁকুড়গাছির উৎসব মঞ্চের বৈঠকে বসেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ শ্রম দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হয়, তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে জুট মিলে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে দেওয়া হবে। দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরমোট ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ দেবে শ্রম দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থাকা জুট মিলগুলিতেই এই প্রশিক্ষণ হবে। প্রথম ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণে যোগ দিলে একজন পাবেন দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা, খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে দৈনিক ৮০ টাকা। আর শেষ ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণেরভাতার পরিমাণ বে়ড়ে হবে ২৫০ টাকা। তবে খাওয়া-দাওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৮০ টাকাই। প্রশিক্ষণ শেষে জুট মিলেই তাদের চাকরি দেওয়া হবে।
শ্রমমন্ত্রী বেচারাম বলেন, ‘‘আমাদের একদিকে লক্ষ্য যেমন জুট মিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিক দেওয়া। তেমনই বেশি সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়াও। এই প্রশিক্ষণ শিবির মারফত আমরা একসঙ্গে দুটি কাজই করতে পারব।’’