কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাংলাই হল একমাত্র রাজ্য, যেখানে এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু চাষি নয়, ভাগচাষিদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ বারও আমরা যা হিসেব পাচ্ছি, তাতে দেখছি এই সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ বাড়ছে।’’
২০১৯ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করে রাজ্য। ফাইল চিত্র।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এই খরিফ মরসুমে আরও ১০ লক্ষের বেশি উপভোক্তাকে যুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি কৃষি দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে খরিফ মরসুমের টাকা চলতি মে মাসে দেওয়া হবে। ২০১৯ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করে রাজ্য। প্রথমে এক একরের বেশি জমি থাকলে বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়া হত। গত বছর থেকে এই অনুদান বছরে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর এক একরের কম জমি থাকলে সেই কৃষক পান চার হাজার টাকা করে। বছরে দু’বার (খরিফ ও রবি মরসুম) এই টাকা দেওয়া হয় কৃষি দফতরের তরফে। ২০২১-’২২ আর্থিক বর্ষে খরিফ মরসুমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ১,৮১৮.৯৯ কোটি এবং রবি মরসুমে ২,২১৬.১০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে মোট ৭,৫৩৬.৫ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্প প্রসঙ্গে কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাংলাই হল একমাত্র রাজ্য, যেখানে এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু চাষি নয়, ভাগচাষিদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ বারও আমরা যা হিসেব পাচ্ছি, তাতে দেখছি এই সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ বাড়ছে।’’
গত রবি মরসুম অবধি ৭৭ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষক ও ভাগচাষি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, নতুন আবেদনগুলি গৃহীত হলে সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৮ লক্ষ ৯০ হাজার। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য, অনুযায়ী এখন মোট উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ লক্ষ ২২ হাজার। ফলে এই খরিফ মরসুমে অন্তত আট লক্ষ ২৭ হাজার কৃষক ও ভাগচাষি নতুন করে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে আসতে চলেছে। তবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তথ্য ও নথি যাচাই করার পরেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ ৯৫ হাজার নতুন উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।