—প্রতীকী ছবি।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি-র তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন বিচারক। সোমবার রেশন দুর্নীতির মামলায় আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরকে ইডি হেফাজত থেকে বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে বিচারক দুই অভিযুক্তের ১৬ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে খবর।
অভিযুক্তদের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে তদন্ত করছে। আনিসুর ও আলিফের দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। ওই দু’জনের রেশন বণ্টন ও চালকলের ব্যবসা রয়েছে।’’ দুই অভিযুক্তের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানিয়ে ইডি-র আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। দুই অভিযুক্তের সূত্রে প্রায় ৪০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সেই জন্য অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬টি বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।’’ অভিযুক্তদের আইনজীবীর যুক্তি, ‘‘জোর করে বয়ান লিপিবদ্ধ করানো হচ্ছে। ভোর ৩টের সময় ঘুম থেকে তুলে বয়ান লেখানো হচ্ছে।’’ এর পরেই বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় ইডি-র আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ কী রয়েছে আপনাদের কাছে? দ্রুত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। না-হলে এক-একটি মামলা ১০০ বছর ধরে চলবে। দ্রুত তদন্ত করুন। তা হলেই তাড়াতাড়ি বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।’’
ইডি সূত্রে দাবি, আনিসুর ও আলিফের রেশন বণ্টন এবং চালকলের সূত্রে ৪০০টির কাছাকাছি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। তার মাধ্যমে রেশন বণ্টন এবং চাষির কাছ থেকে রাজ্য সরকারের ধান কেনার সহায়ক মূল্যের টাকা বেআইনি লেনদেনের তথ্য মিলেছে। প্রভাবশালী যোগ ছাড়াও, প্রায় ৪০০০ কুইন্টাল রেশন সামগ্রী দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তা যাচাই করা হচ্ছে।’’