Dengue Fear

শীতেও হাওড়া ‘কাঁপাচ্ছে’ ডেঙ্গি! শেষ ১৪ দিনে ৭০ জন আক্রান্ত মশাবাহিত রোগে, কী বলছে পুরসভা?

এ বার শীতের শুরুতেও সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৮
Share:

হাওড়ার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পুরকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষা গিয়েছে কবেই। কিন্তু ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না হাওড়া পুর এলাকার বাসিন্দারা। গত দু’সপ্তাহে অন্তত ৭০ জন মশাবাহিত ওই অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে আতঙ্কিত মানুষ। প্রশাসনও উদ্বেগে। হাওড়া পুরসভা জানাচ্ছে, ডেঙ্গি রুখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Advertisement

জমা জলে জন্ম নেয় এডিস মশার লার্ভা। মূলত বর্ষাকালেই এদের বাড়বাড়ন্ত হয়। প্রকোপ বাড়ে ডেঙ্গির। চলতি বছর বর্ষায় কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। তবে পুজোর পর কমেও গিয়েছে প্রাদুর্ভাব। কিন্তু ব্যতিক্রম হাওড়া পুর এলাকা। এ বার শীতের শুরুতেও সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে খবর, গত দু’সপ্তাহে অন্তত ৭০ জন মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভার উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালা ঠিক মতো পরিষ্কার হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকলেও প্রশাসনের হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement

পুরসভার আরও বেশি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাইয়ের কটাক্ষ, ‘‘পুরসভা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’’ পাল্টা পুরসভার র‌্যাপিড অ্যাকশন টিমের তরফে জানানো হচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা সব জায়গায় যাচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের কোনও গাফিলতি থাকলে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। মশার লার্ভা খোঁজা হয় প্রতিদিন। তবে সকলকে মশারি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। জমা জল যাতে কোথাও না থাকে তা বার বার বলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ সময় ডেঙ্গি সে ভাবে হওয়ার কথা নয়। এডিস মশার জিনগত কোনও পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’ তবে সুজয়ের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যাটা উদ্বেগজনক কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘‘গতবছর যে সংখ্যা ছিল আড়াই হাজার মতো, এ বার এ পর্যন্ত পুর এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশো জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement