—ফাইল ছবি।
নদী ভাঙন নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ। এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে সমীক্ষায় নামছে রাজ্য সেচ দফতর। সম্প্রতি সেচ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। দায়িত্বভার পেয়েই তিনি সমীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সেচমন্ত্রী হিসাবে প্রথম পর্যালোচনা বৈঠকেই ভাঙন নিয়ে আধিকারিক-ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন মানস।
নদী ভাঙনে ভোগান্তির শিকার বাংলার বেশ কয়েকটি এলাকা। সবথেকে খারাপ অবস্থা মালদহ ও মুর্শিদাবাদের। ওই দুই জেলায় জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙনপ্রবণ এলাকার মানুষকে দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই দিতে সমীক্ষা কাজ শুরু করা হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট দফতরের হাতে এলে, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিতে পারে সেচ দফতর। গঙ্গা, পদ্মা, হুগলি, রূপনারায়ণ, উত্তরবঙ্গের তিস্তা-সহ একাধিক নদীর দু’ধারের কোন কোন এলাকা ভাঙনপ্রবণ, সেখানে কত মানুষের বাস, কত বাড়ি আছে, কৃষিজমি আছে কি না ইত্যাদি সমস্ত তথ্য সমীক্ষায় জানা যাবে।
রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই সমস্যা মেটাতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার সংস্থান কি রাজ্য সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব? তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাও লাগবে বলে মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকেরা।