ICC ODI World Cup 2023

রাজভবনে ‘বিরাট’ আনন্দ! জার্সি পরে বড় পর্দায় খেলা দেখলেন বোস, কোহলির জন্মদিনে মিষ্টি বিতরণ

রবিবার রাজভবনের বাগানের লনে বিরাট জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়। এ ছাড়া সেখানে ধারাভাষ্য শোনার জন্য ছিল অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। উপস্থিত দর্শকদের জন্য ছিল মুখরোচক খাবার দাবারের বন্দোবস্তও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২
Share:

রাজভবনের লনে বসে বড় পর্দায় খেলা দেখছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ছবি: অমিত রায়।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে উৎসবের চেহারা নিল রাজভবন। বড় পর্দায় দেখানো হল বিশ্বকাপের এই খেলাটি। দর্শকদের সঙ্গে বসে খেলা দেখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভারতের জার্সি পরে প্রায় টানা তিন ঘণ্টা খেলা দেখেন তিনি। রবিবার বিরাট কোহলির জন্মদিনে রাজভবনে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের মধ্যে দেদার মিষ্টি বিতরণ করেন বোস। এ ছাড়া খেলা দেখার সঙ্গে দর্শকদের জন্য ছিল মুখরোচক খাবারের বন্দোবস্ত। উপস্থিত অনেকে বলছেন, চা, কফি, চকলেট এবং পকোড়ার খেতে খেতে বিরাটের শতরান উপভোগ করার মতো! দুধের স্বাদ পাওয়া যায়নি বটে কিন্তু ঘোলের স্বাদও মন্দ নয়।

Advertisement

রবিবার রাজভবনের বাগানের লনে বিরাট জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানো হয়। এ ছাড়া সেখানে ধারাভাষ্য শোনার জন্য ছিল অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। দর্শকদের বসার জন্য ছিল প্রায় ৫০০টি চেয়ার। প্রতিশ্রুতি পালন করতে কোনও খামতি রাখেননি রাজ্যপাল। জার্সি পরে একেবারে সামনের সারিতে বসে খেলা দেখেন রাজ্যপাল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের চার এবং ছক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে হাততালি দিয়ে ‘আনন্দ’ উপভোগ করেন বোস। অনেকের আবদার মতো নিজস্বী এবং অটোগ্রাফও দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রবিবার কোহলি অর্ধশতরান করার পরে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমার টিকিট ফেরত দিয়ে দিয়েছি। যে সব ক্রিকেট বন্ধুরা ইডেনে যেতে পারেননি তাঁদের জন্য এখানে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছি। জন্মদিনে দারুণ খেলছেন বিরাট কোহলি। শুভ জন্মদিন বিরাট।’’ তবে বিরাটের শতরানের সময় রাজ্যপাল সেখানে ছিলেন না। রাজভবন সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কিছু কাজে তিনি ভেতরে গিয়েছিলেন।

রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের টিকিট কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। টিকিট পাওয়া না যাওয়ায় ক্রিকেট অনুরাগীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল বোসও। ইডেনে খেলা দেখতে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজের টিকিট ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছিলেন, জনতা স্টেডিয়াম হয়ে উঠবে রাজভবন। টিকিট বঞ্চিতদের জন্য খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হবে। সেই মতো আয়োজন শুরু হয়। রাজ্যের রাজ্যপালের বাসভবনের ‘টিকিট’-এর জন্য একটি ইমেল আইডি চালু করে রাজভবন। সেখানে আবেদন করে মিলছে রাজভবনে ঢোকার অনুমতি। রবিবার বিকেলে ভারতীয় দলের ব্যাটিং করার সময় রাজভবনে ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। পরে তা কিছুটা কমে যায়। সেখানে উপস্থিত এক দর্শক বলেন, ‘‘ইডেনের টিকিট পাইনি। তাই ভাবলাম রাজভবনে কী হচ্ছে একবার ঢুঁ মেরে আসি। মজাদার আয়োজন। এর আগে এত বড় পর্দায় আগে কোনও দিন খেলা দেখেনি। এখানে বসেই কোহলির রেকর্ড গড়া দেখলাম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement