Anubrata Mondal

আনন্দ নেই, পয়লায় বড্ড খালি কেষ্ট-গৃহ

অনুব্রত মণ্ডলের সেই বাড়ির ছবিটা শনিবার একেবারেই আলাদা। সকাল থেকেই নিস্তব্ধতা ঘিরে রেখেছে সেই বাড়িকে। বাড়ির কর্তা গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ 

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫১
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকার অতি পরিচিত সেই বাড়িটা পুরো নিঝুম। দেখে কে বলবে এই বাড়িই গত কয়েক বছরে পয়লা বৈশাখে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ হই-হুল্লোড়ের থেকে শুরু করে শুভেচ্ছা বিনিময়ে জমজমাট থাকত! লাইন দিয়ে সকাল থেকে বাড়িতে আসতেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতারা।

Advertisement

অনুব্রত মণ্ডলের সেই বাড়ির ছবিটা শনিবার একেবারেই আলাদা। সকাল থেকেই নিস্তব্ধতা ঘিরে রেখেছে সেই বাড়িকে। বাড়ির কর্তা গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি। অনুব্রতের স্ত্রী-ও কয়েক বছর হল প্রয়াত হয়েছেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে সুকন্যার মনখারাপ। ক্রমশ একা হয়ে পড়ছেন বাড়িতে। সে নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। গরু পাচার মামলায় ইডি বারবার ডাকছে তাঁকে দিল্লিতে। সম্প্রতি দিল্লিতে হাজিরা দিয়ে সুকন্যা ফিরে এসেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষাও করিয়েছেন তিনি। কিন্তু, তিনি বাড়িতে ফিরলেও ফেরেনি সেই পুরনো জৌলুস। কেষ্ট-গৃহ আজ বড়ই খালি।

দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পয়লা বৈশাখে বহু নেতা-মন্ত্রী, কর্মীদের ভিড়ে ঠাসা থাকত এই বাড়ি। খাওয়াদাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ চলত। এ দিন অবশ্য বাড়ির ভিতরে কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী, দু’-এক জন পরিচারক ছাড়া কারও দেখা মেলেনি। জেলা তৃণমূলের কোনও নেতা সুকন্যার সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও খবর পাওয়া যায়নি। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ও কার্যত শুনশান ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুকন্যার একাধিক প্রতিবেশী বলেন, “আগে উৎসব অনুষ্ঠানের দিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মণ্ডল বাড়িতে বহু মানুষের আনাগোনা থাকত। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর থেকেই গোটা বাড়ি যেন খাঁ-খাঁ করছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে এমন দৃশ্য এখানে কেউ দেখেনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement