Health Department

Health recruitment corruption: শিক্ষার পর স্বাস্থ্য! নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গড়ল হাই কোর্ট

মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগে স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২ ২৩:০৯
Share:

আবারও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষার পর এ বার স্বাস্থ্য দফতরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এই দুর্নীতির তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। এক মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ এই কমিটি গঠন করার নির্দেশে দিয়েছে।

Advertisement

এই তিন সদস্যের কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাস ছাড়াও থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চার সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি বেঞ্চের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।

মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগে স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতের মতে তাঁরা ‘ব্লু আইড’(বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত) হিসাবে পরিগণিত হয়েছেন। কোনও সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কোনও ব্যক্তির এই আচারণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সত্য খুঁজে বার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করে বিচারপতি টন্ডন এবং শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গড়েছিলেন বিচারপতি টন্ডন।

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৭২৫ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২০১৯ সালে নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউ হয়। মামলাকারীর দাবি, তিনি এমএসসি পাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে মেডিক্যাল টেকনোলজিতে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছেন—এই যোগ্যতা দেখিয়ে ১২ নম্বর দেওয়া হয়। অথচ কয়েক জন বিএসসি পাশ করা প্রার্থীকে ল্যাব টেকনোলজির যোগ্যতা দেখিয়ে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (স্যাট) দ্বারস্থ হন মামলাকারী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে স্যাট। এর পর হাই কোর্টে দ্বারস্থ হন মামলাকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement