স্পিকারের শুনানিতে হাজির ছিলেন না মুকুল-শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।
শেষ হয়ে গেল মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ সংক্রান্ত শুনানি। বৃহস্পতিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল মুকুল ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু দু’জনেই এই শুনানিতে অংশ নেননি। মুকুলের তরফে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সায়ন্তক দাস। বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় ও আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। শুনানি শেষে দু’পক্ষের আইনজীবীরা জানান, তাঁরা দাবি জানিয়ে এসেছেন। মুকুল সংক্রান্ত যাবতীয় শুনানি হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার লিখিত ভাবে তাঁদের যুক্তি স্পিকারের দফতরে জমা দেবেন।
সব খতিয়ে দেখে আগামী ৬ মে দু’পক্ষকেই ফের ডাকা হতে পারে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। তবে আর শুনানি হবে না বলেই দাবি করেছেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা। মুকুলের আইনজীবী সায়ন্তক ফের দাবি করেছেন, বিজেপিতেই আছেন মুকুল। স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার কারণে ১১ জুন তিনি নিজের পরিচিতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। আর বিজেপি পরিষদীয় দল যে ভিডিয়ো প্রমাণ হিসেবে স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিজেপির আইনজীবী বিল্বদল বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ দিয়েছি। এ বার স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায়দান করেন স্পিকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁর বিধায়কপদ খারিজ করা হচ্ছে না। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি পরিষদীয় দল। সেই মামলার শুনানিতে ১১ এপ্রিল দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি সংক্রান্ত মামলায় বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ফের শুনানি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার।