শিয়ালের হামলা নিয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রশ্নের মুখে ফেললেন তাঁর দলেরই বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নিজস্ব চিত্র
শিয়ালের হানা নিয়ে মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরে বিধায়ক তাজমুল হোসেনের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হরদমনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪৫ জন শিয়ালের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন শসক দলের বিধায়ক। তিনি দাবি করেছেন, কারও আঙুল কামড়ে নিয়েছে শিয়ালের দলটি, কারও আবার পায়ে কামড় বসিয়েছে, কারও কামড়েছে নাক-কান। প্রথমে আহতদের হরিশচন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কয়েক জনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাজমুলের অভিযোগ, শিয়ালের দলটি জগন্নাথপুর ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে এসেছিল হরদমনগরে। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে তাজমুল শিয়ালের কামড়ে আক্রান্তদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। সঙ্গে বনমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে শিয়ালের দলটিকে পাকড়াও করার দাবিও জানিয়েছেন।
বিধায়কের এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে দ্রুত মালদহের বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বনমন্ত্রী। আগামী সোমবার সেই রিপোর্ট জমা পড়বে বন দফতরে। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব দেবেন তিনি। শুক্রবার সকালে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন মালদহের জেলাশাসক ও বন দফতরের এক আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গেও শুক্রবার কথা হয়েছে বনমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘হামলাকারী শিয়ালের দলটি বিরল প্রজাতির। সারা বাংলায় এমন শিয়াল রয়েছে মোট ৩০০টি। জগন্নাথপুরের জঙ্গলেই রয়েছে ৮০টি। সে কারণে আমাদের সব সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখেই।’’ বনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মরা প্রাণী গ্রামের মানুষরা জঙ্গলের কাছেই ফেলেন। সেগুলি খেতে এসেছিল শিয়ালের দল। সেই থেকেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা চেষ্টা করছি, জঙ্গলের ভিতরেই যাতে শিয়ালদের খাবারের বন্দোবস্ত করে সেখানেই তাদের রাখা যায়।’’
জ্যোতিপ্রিয়র দাবি, শিয়ালের কামড়ে আহতদের মধ্যে ২০ জনকে প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাকি আহতদেরও চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসন বিশেষ ভাবে তৎপর রয়েছে।