Food Department

কৃষকদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে ধান কিনবে খাদ্য দফতর

এ বার চাষিদের আধার কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজে আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার যন্ত্র ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৮:৪৪
Share:

আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার যন্ত্র ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। —প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের চাষীদের থেকে ধান কেনার দ্বিতীয় দফার কাজ জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু করতে চলেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। সেই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ঘটছে এই ক্রয় পদ্ধতিতে। এ বার চাষিদের আধার কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজে আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার যন্ত্র ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর।

Advertisement

দফতরের নিজস্ব স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও একাধিক অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কেনা হয়। এ বার থেকে স্থায়ী শিবিরের পাশাপাশি, অস্থায়ী কেন্দ্রগুলিতেও এই প্রযুক্তি রাখতে হবে বলে খাদ্য দফতর থেকে জেলা আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জুনের গোড়ার দিকেই চাষিদের কাছ থেকে সরকারি উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্যায়ের ধান কেনার কাজ শুরু হতে চলেছে। ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় রাজ্য খাদ্য দফতর। ইতিমধ্যে ধান ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থাকে স্ক্যানার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোন চাষীর থেকে কত পরিমান ধান কেনা হচ্ছে, তার হিসাব নিজেদের কাছে রাখতেই নতুন এই পদ্ধতি চালুর কথা ভাবা হয়েছে। কারণ কোন জেলার কোন চাষীদের থেকে ধান কেনার কাজ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে স্বচ্ছ হিসাব নিজেদের কাছে রাখাই লক্ষ্য খাদ্য দফতরের।

Advertisement

বেনফেড এবং ইসিএসসির মতো সরকারি সংস্থাগুলি কৃষি সমবায় সংস্থার মাধ্যমে ধান কেনে। এ ছাড়াও শিবির খুলে ধান কেনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। গত নভেম্বর থেকে চলতি খরিফ মরশুমের ধান কেনা শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৯ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর। এই মরশুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রথমে ছিল ৫৫ লক্ষ টন। পরে তা আরও ৫ লক্ষ টন বাড়ানো হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যাতে কোনওরকম অস্বচ্ছতা না হয় সে বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কড়া দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।

যে পরিমাণ ধান সরকার সংগ্রহ করেছে, তা থেকে তৈরি চাল আগামী এক বছর রাজ্যের রেশন, মিড ডে মিল প্রকল্প এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহের পক্ষে পর্যাপ্ত বলে মনে করছে খাদ্য দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement