ফাইল চিত্র।
কালীঘাট ও তারাপীঠ মন্দিরের আদলে নতুন করে তৈরি হতে চলেছে দমকল কেন্দ্র। কালীঘাটে যে পুরনো দমকল কেন্দ্রগুলি রয়েছে, তা ভেঙেই নতুন ভবন তৈরি করা হবে। কালীঘাট দমকল কেন্দ্রটি তৈরি হবে কালীঘাট মন্দিরের আদলে। তারাপীঠে একটি নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি হবে। সেই দমকল কেন্দ্রটিও তৈরি হবে তারা মায়ের মন্দিরের আদলে। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের নতুন নকশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুজিত। তাঁর সম্মতি মিলতেই কাজে গতি এনেছে দমকল দফতর। ইতিমধ্যে সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুরনো ভবনটি পুরোপুরি ভেঙে পুনরায় তা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। জায়গার অভাবের জন্য নতুন দমকল কেন্দ্রটিতেও দু’টির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না। তবে সেটিকে আধুনিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। পাঁচতলা ভবন তৈরি হবে। থাকবে ব্যারাক বা দমকল কর্মীদের জন্য কোয়ার্টার্স।
বর্তমানে কালীঘাটে হরিশ মুখার্জি রোড শুরুর ঠিক উল্টো দিকের রাস্তা কে পি রোডের মুখেই একটি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটি অনেক পুরনো। অপরিসর জায়গা। মাত্র দু’টি দমকলের গাড়ি রাখা যায়। তাই কালীঘাট এলাকায় আরও একটি নতুন দমকল কেন্দ্র করা যায় কি না, সেই জন্যও দমকল দফতর জমির খোঁজ করেছিল। কিন্তু তা না মেলায় পুরনো কেন্দ্রটিকেই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে। বীরভুমের তারাপীঠেও নতুন একটি দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সুজিত বলেন, ‘‘বর্তমানে তারাপীঠে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অন্য দমকল কেন্দ্র থেকে গাড়ি পাঠাতে হয়। কোনও সমস্যা হলে যাতে দ্রুত আগুন নেভানো যায়, তাই তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলেই নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি হবে।’’
কালীঘাটের পাশাপাশি টালিগঞ্জ দমকল কেন্দ্রটিও ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।