—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকর্মীদের ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ সরকারি কর্মচারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, এমনই অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। বেশ কিছু সংগঠন আবার সরাসরি ভোটকর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছিল। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ভোটকর্মীদের ভাতা এ বারও বাড়ানো হয়নি।
প্রিসাইডিং অফিসারেরা প্রশিক্ষণ এবং ভোটের দিন কাজের জন্য মোট ২,৩৪০ টাকা পাবেন। এর মধ্যে খাবারের খরচ ধরা হয়েছে। মোবাইল ফোন রিচার্জের জন্য তাঁদের ১০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পোলিং অফিসারেরা পাবেন ১,৫৪০ টাকা। দ্বিতীয় এবং পোলিং অফিসারেরা পাবেন ওই ১৩৪০ টাকা করেই। রিজার্ভ প্রিসাইডিং অফিসার পাবেন ১০৫০ টাকা করে। প্রথম রিজার্ভ পোলিং অফিসার পাবেন ৮৫০ টাকা করে। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পোলিং অফিসারেরাও পাবেন ৮৫০ টাকা করে। সেক্টর অফিসিয়ালদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাথা পিছু ৬৭০ টাকা। গণনা সুপারভাইজারদের জন্য বরাদ্দ ১২২০ টাকা। গণনা সহকারী পদের জন্য বরাদ্দ ৯২০ টাকা। গণনার কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ৭৭০ টাকা। রিজার্ভ কাউন্টিং সুপারভাইজ়ারেরা পাবেন ১০২০ টাকা করে। সহকারি কাউন্টিং সুপারভাইজ়ারদের জন্য বরাদ্দ ৮২০ টাকা। ভোটের নানাবিধ কাজে যাদের ব্যবহার করা হবে তাদের দেওয়া হবে ২০০ টাকা করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা-সহ নানা বিষয়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯৭০ টাকা করে। পরিবহণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের খোরাকি হবে ১৭০ টাকা। শনি এবং রবিবার টিফিন বাবদ মিলবে ৭৫ টাকা করে। আর সোম-শুক্রবার তা হবে ৪৫ টাকা। যে সব আশা কর্মী-সহ অন্যরা ভোটপর্বে অংশ নেবেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ হবে দিনপিছু। প্রশিক্ষণের দিন বরাদ্দ ২৫০ টাকা। ভোটের দিন ২৫০ টাকা। খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে ১৭০ টাকা করে।
গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের কাজে অংশ নেওয়া ভোটকর্মীদের যে পরিমাণ ভাতা ছিল, তা অপরিবর্তিত থাকছে। ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১৮ সালে যে ধরনের বাজারমূল্য ছিল, এখন সব কিছুর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। অথছ বিভিন্ন স্তরের যাঁরা ভোট কর্মী আছেন, তাঁদের পারিশ্রমিক একটি পয়সাও বৃদ্ধি পেল না। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা দাবি করছি, ভোটকর্মীদের ভাতা কম করে ৫০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হোক।’’