অনিল কন্যার ‘জাগো বাংলা’য় লেখা নিয়ে বিড়ম্বনায় আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট। সংগৃহীত চিত্র
তৃণমূলের মুখপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা।সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তার সেই লেখা প্রকাশের পর আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজ্য সিপিএমের অন্দরে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট। দলের সব নেতাকে এ নিয়ে মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত ২১ জুলাই থেকে প্রকাশিত হচ্ছে তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্র। বুধবার সেখানে অনিল-কন্যার উত্তর সম্পাদকীয় লেখা প্রকাশিত হতেই গুঞ্জন শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। লেখাটি নজরে আসে সিপিএম নেতৃত্বের। তারপরেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে সিপিএমের সদস্য হয়ে অজন্তা বিপরীত আদর্শের একটি দলের মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন? সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘‘লেখালেখির ক্ষেত্রে দল সাধারণত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না। তবে উনি দলের সঙ্গে জড়িত। পার্টি লাইন কোথাও ভেঙেছেন কি না, সেটা তো দেখার বিষয়।’’ অজন্তার লেখা নিয়ে ওই নেতার এমন মন্তব্য নজরে আসে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের। তারপরেই আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট থেকে ওই নেতাকে মন্তব্য করতে বারণ করে দেওয়া হয়। দলগত সিদ্ধান্ত নিয়েই রাজ্য নেতাদের এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে বারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অজন্তার ওই লেখার দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি প্রকাশিত হবে।ঘটনাচক্রে, বুধবারই ছিল আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেও আলোচনা হয় অজন্তা-প্রসঙ্গ। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়, তাঁর ওই লেখা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবে না সিপিএম। আপাতত অনিল-কন্যা নিয়ে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটের বিড়ম্বনা মৌনী হয়েই এড়াতে চাইছেন সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব।