Kolkata Traffic Police

ভাঙড়ে যান চলাচল মসৃণ কী ভাবে, দেখতে কমিটি লালবাজারের

শীঘ্রই ভাঙড় এবং কাশীপুরের প্রায় ২১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসবে। সেই সংক্রান্ত প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ওই এলাকায় আটটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ভাঙড় এবং কাশীপুর এলাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে নয় সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করল লালবাজার। কমিটির মাথায় রয়েছেন ট্র্যাফিক বিভাগের এক জন সহকারী নগরপাল। এ ছাড়াও আছেন ট্র্যাফিক বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, শনিবারই ভাঙড় এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন কমিটির সদস্যেরা। সেখানকার যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে কী কী করা প্রয়োজন, তা নিয়ে সোমবার ট্র্যাফিক বিভাগের সহকারী নগরপালের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, শীঘ্রই ভাঙড় এবং কাশীপুরের প্রায় ২১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসবে। সেই সংক্রান্ত প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ওই এলাকায় আটটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হবে ভাঙড় ডিভিশন। এর বাইরে ওই এলাকার যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করতে তৈরি করা হবে ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড। যার অধীনে থাকছে বাসন্তী হাইওয়ের প্রায় ২৭ কিলোমিটার অংশ। পাশাপাশি, ভাঙড়-লাউহাটি রোড, ঘটকপুকুর-সোনারপুর রোড এবং শিখরপুর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার যান চলাচলও সামলাতে হবে ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডকে। সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়ের নতুন অংশে ১০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট কমিটির তরফে প্রস্তাবিত ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে দুই প্রান্তে দু’টি ট্র্যাফিক আউটপোস্ট বা পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা হওয়ার কথা পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বরে। সূত্রের খবর, একটি ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষে এত বড় এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা অসুবিধাজনক বলে ওই ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে বাসন্তী হাইওয়ের ভাঙড় অংশে নলমুড়ি এবং ঘটকপুকুর মোড়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল রয়েছে। তার মধ্যে নলমুড়ির সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু থাকলেও ঘটকপুকুর মোড়ে সিগন্যাল কাজ করে না। কলকাতা পুলিশের আওতায় ওই এলাকা চলে এলে প্রাথমিক ভাবে ১৩টি জায়গায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসানো হবে বলে স্থির হয়েছে। একই সঙ্গে, ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের বিট (গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়) ঠিক করা হয়েছে ১৫টি। পাশাপাশি, কোথায় পথ-বিভাজিকা বা আলো দরকার, সে সবও খতিয়ে দেখছে নয় সদস্যের কমিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement