মাস দু’য়েক আগে দু’দিন পর পর পার্বত্য বিষয়ক দফতর এবং অর্থ দফতরে গিয়ে সেখানকার কাজকর্ম প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। — ফাইল চিত্র।
আচমকাই নবান্নের দুটি দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অন্য দিনের মতেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের নির্দিষ্ট সময়ে নবান্নে আসেন। উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা জানতেন, মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ১৪ তলায় নিজের দফতরে। সেই মতো নীচতলা থেকে লিফ্টে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আচমকাই সপ্তম তলায় মুখ্যমন্ত্রী লিফ্ট থামিয়ে দিতে বলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সঙ্গে সঙ্গেই লিফ্ট থামিয়ে দেওয়া হয়। লিফ্ট থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। সেখানে গিয়ে উপস্থিত কর্মী এবং আধিকারিকদের কাছে দফতরের কাজকর্ম প্রসঙ্গে জানতে চান। উপস্থিতির হার কেমন? দফতরে কোনও ফাইল আটকে রয়েছে কি না, তা-ও খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার খোঁজখবর নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ভূমি দফতর থেকে বেরিয়ে লিফ্টে উঠে যান।
মুখ্যমন্ত্রী দফতর ছেড়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ভূমি দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা। এ বারও নিরাপত্তারক্ষীদের ধারণা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নিজের দফতরেই যাবেন। কিন্তু, আবারও মুখ্যমন্ত্রী ১২তলায় লিফ্ট থামিয়ে দেন। ওই তলায় অর্থ দফতরের অফিস। অর্থ দফতরে গিয়ে সেখানে ঢুকেই দফতরের উপস্থিতির হার প্রসঙ্গে খোঁজ নেন মমতা। জানতে চান, কর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে কোনও কাজ আটকে নেই তো? উপস্থিত কর্মীরা নিজেদের মতো করে তাঁদের জবাব দেন। কয়েক জন আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে নিজের দফতরে ১৪ তলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।
মাস দু’য়েক আগে দু’দিন পর পর পার্বত্য বিষয়ক দফতর এবং অর্থ দফতরে গিয়ে সেখানকার কাজকর্ম প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন পরিদর্শন প্রসঙ্গে নবান্নের একাংশ মনে করছে, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অনেক কর্মীই ছুটি নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। তাঁদের ছুটি নিয়ে আন্দোলনে শামিল হওয়ায় দফতরগুলির কাজে তার প্রভাব পড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দুই দফতর পরিদর্শনে গেলেন।