মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
যে সব জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখানেই পাঠাতে হবে সরকারি আধিকারিকদের প্রতিনিধিদল। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এমনই দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিন দিনের কৃষ্ণনগর সফরে রওনা হওয়ার আগে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ডেঙ্গিপ্রবণ জেলাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে কী ভাবে পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নবান্নের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর পর থেকেই রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তাই কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ভবনকেও সজাগ করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবিও করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩৬ বছর বয়সি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’ এবং ‘সেপ্টিক শক’ এর কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ডেঙ্গি আক্রান্তের। কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম বুবাই হাজরা। ৩০ বছরের ওই যুবকের বাড়ি কলকাতার ট্যাংরা এলাকায়। রবিবার দক্ষিণ দমদমের নাগেরবাজার এলাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। পরিবার সূত্রে খবর, গত ৩ নভেম্বর শিল্পী সাহা নামে ৫৪ বছর বয়সি ওই মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কলকাতার পাশাপাশি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ডেঙ্গির প্রভাব বেড়েছে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।