—প্রতীকী ছবি।
জলজীবন মিশন এবং স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় পঞ্চায়েত স্তরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মানতে হলে এ বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে প্রকল্পের কাজ। প্রসঙ্গত, শনিবার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল ঘুরে গিয়েছে রাজ্যে। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে পানীয় জল এবং নিকাশি (স্যানিটেশন) দফতরের সচিব বিনি মহাজন। তবে প্রশাসন সূত্রের দাবি, এ রাজ্যে জলজীবন মিশনের গতিতে কেন্দ্র যে আপাত ভাবে সন্তুষ্ট, সেই ইঙ্গিত পেয়েছেন রাজ্যের কর্তারা।
এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত, পঞ্চায়েত দফতরের কর্তা এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনি। সূত্রের দাবি, প্রকল্পগুলির খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মন্ত্রক বার্তা দিয়েছে যে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির কাজ। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম নজরে থাকা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি জলজীবন মিশন। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরতে চাইবে কেন্দ্র। অন্তর্বর্তী বাজেটেও বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ায় এই প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজ বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ থাকলেও, জলজীবন মিশনের বরাদ্দে কোনও ঘাটতি নেই। বরং এই অর্থবর্ষে প্রথম বার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে কেন্দ্রের পাঠানো অর্থের পূর্ণ ব্যবহার করায় পর পর চারটি দফার অর্থ হাতে পেয়েছে। প্রতি দফায় প্রায় ৯৫১ কোটি টাকা করে পেয়েছে রাজ্য।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৯-২০ সালে প্রকল্পের শুরুতে এ রাজ্যের গতি বেশ কম থাকলেও, পরের প্রতিটি বছরেই লাফিয়ে বেড়েছে প্রকল্পের গতি। একই সঙ্গে বেড়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দও। শনিবার পর্যন্ত রাজ্য প্রায় ৭৪ লক্ষ ৩৭ হাজার বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দিতে পেরেছে। সেই দিক থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের দাবি, এ বছরের মধ্যে এক কোটির বেশি বাড়িতে জল সংযোগ দেওয়া যাবে। রাজ্য পুরো কাজ চলতি বছরে শেষ করার চেষ্টাও করবে। তার পরেও যদি কিছু বাড়িতে সংযোগ বাকি থাকে তা আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে শেষ করে ফেলা সম্ভব।